৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে করল্লা ও বেগুন। দামে ঝাল বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা মরিচের বেলায়।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে সকাল ৮ টা নাগাদ নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা কাঁচা বাজার হিসেবে পরিচিত মেছুয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সবজির দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, বাজারে অনেক সবজির সরবরাহ কম। এ ঘাটতির কারণেই হু হু করে বেড়েছে সবজির দাম। সহসাই এ দাম কমার সম্ভাবনা নেই। নগরীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত মেছুয়া বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম বিক্রেতারা নিজেদের মতো করে হাঁকছিলেন। এ বাজারে এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি করল্লা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। সপ্তাহ ঘুরতেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়।
৩৬ টাকার পটল ৪২ টাকা, ৩০ টাকা কেজি ঢেঁড়স ৫০ টাকা, ৪৫ টাকার বেগুন ৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ২৫ টাকা, ২০ টাকার দেশি লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা, ২৮ টাকার কাকরোল ৩৫ টাকা, পুঁই শাক প্রতি কেজি ২০ টাকা আর ১৫ টাকা কেজি কাঁচা পেঁপে এখন গিয়ে ঠেকেছে ২৪ টাকায়।
২০ টাকার লাল শাক ২৪ টাকা, কমলি শাক ২০ মুটি ৮০ টাকা, ২৫ টাকার শসা ৩২ টাকা, ২০ টাকার ধুন্দল ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০ মুটি পাট শাক ক’দিন আগেও ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা।
মুহি সুজি ২০ টাকা, ৯০ টাকার কাঁচা মরিচ ১১০ টাকা, ৩৫ টাকার ঝিঙে ৫০ টাকা, ৩৮ টাকার বটবটি ৪৮ টাকা, দেশি লেবু ১শ’ পিস ১৫০ টাকা ও ২৫ টাকার লতা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি সবজি বিক্রেতা নূর হোসেন ও শাহাবুদ্দিন দাম বাড়ার বিষয়ে অযুহাত হিসেবে দাঁড় করালেন বন্যায় ফসলহানির কথা। তাদের ভাষ্যে- সবজির দাম একেক দিন একই রকম। এরপর বন্যা মরার ওপর খাড়ার গা হয়ে এসেছে। এ কারণে দামও বেড়েছে।
পাইকারি বাজারে এসব দামের বিপরীতে খুচরা বাজারে দামের উত্তাপ ছিল বেশি। বেগুন, শসা ও কাঁচামরিচ মানভেদে ৭০ টাকা, ৪০ টাকা ও ১৩০ টাকা কেজি চাইছিলেন খুচরা বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন (৪০)। তিনি জানান, বাজারে সবজির ঘাটতি রয়েছে। বন্যায় চরাঞ্চলের অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। খুচরা বাজার তাই দাম।
এ বাজারে সবজি কিনতে আসা নগরীর নওমহল এলাকার চাল ব্যবসায়ী আজিজুল হক বাংলানিউজকে জানান, সবজির বাজার নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বেগুন, কাঁচামরিচসহ সব কিছুতেই ১৫ থেকে ২০ টাকা করে দাম বেড়েছে। প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়াচ্ছে।
একই রকম মন্তব্য করেন বাজার করতে আসা একটি রেন্টে কারের চালক মিজানুর রহমান জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের উর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রশাসন নজর না দিলে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম