ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজস্ব ফাঁকি রোধে গোয়েন্দাদের ৮ নির্দেশনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
রাজস্ব ফাঁকি রোধে গোয়েন্দাদের ৮ নির্দেশনা

ঢাকা: আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা মহাপরিচালকদের আটটি নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

রোববার (১৩ আগস্ট) আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকির তদন্ত পরিচালনা এবং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এক সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।  

এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের দেওয়া ৮ নির্দেশনা হলো- (১) দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সুচারু ও তীক্ষ্ম নজরদারির আওতায় আনা।

(২) বন্দরগুলো যাতে কোনোভাবেই চোরাকারবারিদের বিচরণ ক্ষেত্র না হতে পারে তা নিশ্চিত করা। (৩) ভ্যাট ফাঁকি রোধ করে পণ্যের প্রকৃত উৎপাদন ও তার থেকে নির্দিষ্ট হারে ভ্যাট আদায় নিশ্চিতে ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার। (৪) আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বাবদ সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব আহরণের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করা। (৫) আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত তদন্ত ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৬) কর ফাঁকিবাজ অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পাশাপাশি সৎ ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। (৭) রাজস্ব ফাঁকি রোধে মাঠ পর্যায়ে যে কোনো অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে সিআইসি, শুল্ক ও মূসক গোয়েন্দা অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করা। (৮) অর্থপাচার রোধে সরকারের সব পক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে অর্থপাচারকারীদের চিহ্নিত করণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রয়োজনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা।

নির্দেশনা দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আহরণে অধিকতর গতিশীলতা আনয়ন এবং করদাতা বান্ধব পরিবেশ সৃজনের জন্য অনুসৃত ‘সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা’ কাঠামোর আওতায় এনবিআর রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ নীতি অনুসরণ করছে। করদাতাদের প্রদত্ত রাজস্বই সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রধান চালিকাশক্তি। একটি কর-বান্ধব, জন-বান্ধব ও ব্যবসা-বান্ধব তথা উন্নয়ন-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সম্মানিত করদাতারা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।

আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) মহাপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন,  শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান, ভ্যাট গোয়েন্দা ও  তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আল-আমিন প্রামানিক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।