শনিবার (২১ অক্টোবর) তিন দিনব্যাপী মেলার শেষ দিন হলেও টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে দর্শনার্থীদের তেমন একটা ভিড় চোখে পড়েনি মেলার স্টলগুলোতে।
জানা গেছে, মেলায় এবার মোট ৩১টি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান, ৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ৪৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
কিন্তু শুক্রবারের ( ২০ অক্টোবর) মতো মেলার শেষ দিন শনিবারও সকাল থেকেই ছেদহীন টানা বর্ষণে স্তব্ধ, নিথর করে দিয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘর থেকেই বের হতে পারছে না মানুষ। ফলে ফাঁকা মেলাপ্রাঙ্গণ খাঁ খাঁ করছে দর্শনার্থীর অভাবে।
তবে মেলায় দর্শনার্থীদেদের ভিড় কম থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের অফিসগুলোতে ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে দাবি করলেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক খাইরুল ইসলাম।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের টার্গেটের চেয়ে দর্শনার্থী কিছুটা কম। তবে আমাদের ঋণ নিবন্ধনের ফি ৫০% কমানোতে সবাই সুযোগটা লুফে নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের ২৯টি অফিস রয়েছে। গত শুক্রবার এবং আজ শনিবারও সেসব খোলা রয়েছে। এসব অফিসে আমরা মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
তবে আজকে সকালে দর্শনার্থী কিছুটা কম থাকলেও বিকেলের দিকে বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন মেলার স্টলগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মীরা।
এবিষয়ে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অরুণ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গত দুইদিনে আমরা ৫ শতাধিক আগ্রহী ক্লায়েন্ট পেয়েছি। আজকে যেহেতু মেলার শেষ দিন, সেহেতু বিকেলের দিকটায় মেলা জমজমাট হবে বলে ধারণা করছি। তবে এখানে আমাদের সেল করার কোনো টার্গেট নেই। আমরা মানুষকে জানান দিতে চাই, যাতে পরবর্তী সময়ে তারা আমাদের থেকে ঋণ সুবিধা পেতে পারেন।
প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করেও অল্পসংখ্যক মানুষ মেলায় এসেছেন। তাদেরই একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী কাজী ফিরোজ আহমেদ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, যাদের প্রয়োজন তারা যেভাবেই হোক মেলায় আসবে। যেমন, আমি। একটা ফ্লাটের জন্য আমার ঋণ দরকার। এজন্যই এতো বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে, এতো পানি-কাদা পার হয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে চলে এসেছি। এখন দেখি যেখান থেকে সহজ শর্তে সুবিধামতো ঋণ পাবো সেখান থেকে নেবো।
ইউএস বাংলা অ্যাসেট-এর ডেপুটি ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার (২০ অক্টোবর) আমরা ২৫ জন ক্লায়েন্ট পেয়েছি। বৃষ্টি একটু কমে এলে আজকেও অনেকেই আসবেন। এ মুহূর্তে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকেই হয়তো আসতে পারছেন না। তবে যাদের গাড়ির ব্যবস্থা আছে তারা বিকেলের দিকে ঠিকই চলে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়:১৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এসআইজে/জেএম