যদিও মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। তবে লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছেন তারা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পৌনে ১ টা পযর্ন্ত আইসিসিবির নবরাত্রি হলে মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও অনেকেই স্ত্রী-সন্তান সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন। প্যাভিলিয়নে ঘুরে ঘুরে ফার্নিচার পছন্দ করছেন, কেউবা আবার অর্ডারও দিচ্ছেন।
ফার্নিচার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাইটেক’র প্যাভিলিয়নে কথা হয় বারিধারা থেকে মেলায় আসা দিদারুল আলমের সঙ্গে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মেলায় আসা দিদারুল হাইটেকে সোফার অর্ডার দিয়েছেন।
আরও কিছু ফার্নিচার কেনার অভিপ্রায় থেকে মেলার অন্য প্যাভিলিয়নে যাওয়ার আগে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও চমৎকার পরিবেশে আয়োজিত ফার্নিচার মেলা মিস করতে চাইনি। তাছাড়া মেলা উপলক্ষে কিছু ছাড়ও পাওয়া যাচ্ছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় চলে এলাম।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ ফার্নিচার মালিক সমিতি পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে। শনিবার মেলার শেষ দিন।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাপ্তাহিক দুইটা ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) মাথায় রেখে মেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যাশা ছিলো পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলার শেষ দুই দিন শুক্র ও শনিবার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাবেন তারা। কিন্তু টানা বর্ষণের ফলে সেই প্রত্যাশা তাদের পূরণ হয়নি।
তবে মেলার ভেন্যু হিসেবে আইসিসিবি বেছে নেওয়ায় রাজধানীর এলিট শ্রেণীর ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সাড়া ঠিকই মিলেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
তারা বলেন, যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে, তারা ঠিকই পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছেন।
নবরাত্রি হলের সিড়িতে দাঁড়িয়ে কথা হয় উত্তরা থেকে মেলায় আসা আয়শা আক্তার ও তার মেয়ে মুনিয়ার সঙ্গে।
হেমন্তের এই সময়ে বৃষ্টি-বাদলের মধ্যেই মা-মেয়ে মেলায় এসেছেন পছন্দের ফার্নিচার দেখতে। আয়শা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, যানজটের এই শহরে ঘুরে ঘুরে ফার্নিচারের ব্র্যান্ডশপগুলোতে যাওয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে এক ছাদের নিচে সব ব্র্যান্ড পাওয়া যাবে বলেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও মেলায় এসেছি।
‘তাছাড়া মেলার ভেনু হিসেবেও আইসিসিবি বিশ্বমানের। এখানকার পরিবেশ মন ভালো করে দেয়। ’
দুপুর ১ টা নাগাদ মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভিড় না জমলেও আয়োজকরা মনে করছেন, মেলার শেষদিন হওয়ায় শনিবার বিকেল নাগাদ ভিড় জমে উঠবে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা যেভাবে মেলায় আসছিলেন, শনিবারও সেভাবে আসবেন।
কথা হয় লিগেসি ফার্নিচারের সেলস এক্সিকিউটিভ মৌসুমী আক্তারের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ছিলো শুক্র-শনি- এই দুই দিন। কিন্তু এ দু’টি দিন-ই টানা বর্ষণে ভেসে গেলো। তবে গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সাড়া ভালো-ই ছিল। আশা করছি, আজও তারা আসবেন।
ওমেগা হোম সলুশানের এক্সিকিউটিভ মো. মানিক তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সাড়া মোটামুটি মিলেছে। শেষ দুইদিন বৃষ্টির কারণে প্রত্যাশিত ক্রেতা-দর্শনার্থী হয়তো আমরা পাইনি। তবে যা মিলেছে তা মন্দ নয়।
হাইটেক’র বিক্রয় প্রতিনিধি শাহরিয়ার শরিফ বলেন, সেলস ও অর্ডার যা পেয়েছি, প্রত্যাশা ছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি। বৈরী আহবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ক্রেতা-দর্শনার্থী আসেননি। তবে যা হয়েছে তা মোটামুটি ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এজেড/এমএ