কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) পাশাপাশি কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা এ স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে রফতানি করলে বেশি লাভবান হবে কোরিয়া।
বাণিজ্যমন্ত্রী সোমবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিয়ং-ড এর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। কোরিয়ার স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি সব পণ্য এখন বাংলাদেশেই উৎপাদন করবে। জয়েন্ট ভ্যাঞ্চারে এসব কোম্পানি গড়ে উঠবে।
এ মুহূর্তে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ১ হাজার ৫০৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২৩৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ২৬৮ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের তৈরি বেশকিছু পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। এ সুবিধা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়িক জটিলতা দূর করতে উভয় দেশ কাজ করে যাচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে চলতি বাণিজ্য ব্যবধান কমানো হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ইপিজেডে বিনিয়োগ করেছে। আরো অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্পেশাল ইকোনমিক জোন কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বেশ আগ্রহী। স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি জয়েন্ট ভ্যাঞ্চারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য বাড়বে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে। কোরিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সবধরনের সহায়তা দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস