কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে গঠিত সংগঠনটি বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলার আয়োজন করেছে।
উন্নয়ন মেলা ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায়।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, ব্যবস্থাপনা পরিচলক মো. আবদুল করিম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও আইটি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩টি স্টল মেলায় অংশ নেবে।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রির পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, মানব মর্যাদা ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মোট ৫টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মোট ৭ জন মন্ত্রী ও চারজন সচিবসহ দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, ২৩টি সহযোগী সংস্থা নিয়ে ১৯৯০ সালে ১০ হাজার ১২ জন উদ্যোক্তার সহযোগিতায় পিকেএসএফ কাজ শুরু করে। বর্তমানে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ২৭৭টিতে। এসব সংস্থার ৮ হাজার ৬২৮টি শাখার মাধ্যমে ১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার সদস্য প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি বলেন, আগে পিকেএসএফ ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতো না। আর এখন ১৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে জড়িত।
অর্থনীতিবিদ খলিকুজ্জামান বলেন, বিশ্বের অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না। আমার গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে। এ কারণেই আমরা মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঋণ নিলো, আবার ঋণ আদায় হলো- এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা ঋণ নেওয়া লোকটির কী হলো, তার দিকে নজর দিচ্ছি। তাই এখন আমরা টাকা দিয়েই ক্ষ্যান্ত থাকি না বরং ঋণ গ্রহীতাকে আগে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস