ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ট্রাক ভর্তি গরু ফেরত যাচ্ছে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
ট্রাক ভর্তি গরু ফেরত যাচ্ছে বিক্রি না হওয়া গরু নিয়ে ফেরত যাচ্ছেন ব্যাপারীরা। ছবি: শাজাহান মোল্লা

গাবতলী পশুর হাট থেকে: রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। এই ঈদের তাৎপর্য্য হচ্ছে প্রিয় পশুকে কোরবানি করা। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন হাটে গরু, ছাগল, মহিষ, উট, দুম্বা বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাটে বিক্রি শুরু হয় গত শনিবার (১৮ আগস্ট)। প্রথম তিনদিন ভালো দামেই গরু বিক্রি হয়েছে।

তবে, শেষ মুহূর্তে এসে গরুর দাম পড়তে থাকে। গরুতে ২০ থেকে ৫০ হাজার দাম পড়তি। এই অবস্থায় এখনও হাজার গরু অবিক্রিত রয়েছে।

এ বছর গরু ব্যবসায়ীদের বিরাট লোকসান গুণতে হচ্ছে। যারা রবি, সোমবার বিক্রি করেছেন, তাদের মুখে হাসি থাকলেও মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

ঝিনাইদাহের গরুর ব্যাপারী মজনু বাংলানিউজকে বলেন, এইবার চালান উঠবে না। গরু প্রতি ৫০ হাজার ধরা। যে টাকার গরু কিনেছি তার অর্ধেকও ওঠাতে পারবো না। কেউ দামই করছেন না। এখন ফেরতও নিতে পারছি না। রাত ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে বের হলে গরু প্রতি ২৫০০ টাকা হাট মালিককে দিয়ে যেতে হবে।

এদিকে, হাট ভর্তি গরু থাকার পরেও অন্য হাট থেকে ট্রাক ভর্তি গরু এসে রাস্তায় ভিড় করছে। নামানোর জায়গা না পেয়ে অনেকে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।

রাত যতো গভীর হচ্ছে গরু ব্যবসায়ী ও মালিকের চেহারা ততো মলিন হচ্ছে। মানিকগঞ্জের রফিক সকালে দু’টি ছোট গরু এনে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন। সকালে যে গরুটা ৫৫ হাজার দাম উঠেছিল, সেই গরু এখন ৩০ হাজার টাকা দাম করছেন। তার ইচ্ছে, এখন ৫০ হাজার হলেই ছেড়ে দেবেন। কিন্তু কেউ দামই করছেন না।

গাবতলী হাটে এখনও যে সংখ্যক গরু আছে তাতে পুরো রাজধানীবাসীর চাহিদা মেটানো সম্ভব। মূল হাট ছাড়াও রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য গরু অবিক্রিত। অনেকে আবার দাম কমার কথা শুনে নতুন করে গরু কিনতে হাটে হাজির হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিপুল সংখক গরু ফেরত যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এসএস/পিএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।