ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিষেধ মেনেছেন ব্যবসায়ীরা, বাজারে নেই ইলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
নিষেধ মেনেছেন ব্যবসায়ীরা, বাজারে নেই ইলিশ টিঅ্যান্ডটি বাজারে মাছের দোকান | ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ৭ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আর বাজারে ইলিশ না থাকায় বেড়েছে সব ধরনের মাছ, ডিম ও মাংসের দাম। অন্যদিকে বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বাড়তি দামেই তা বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুন বাগিচা ও টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি হরিণা ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, গলদা ৬৫০ থেকে ১০০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ছেট চিংড়ি ৫০০ টাকা, দেশি পুটি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

টিঅ্যান্ডটি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী হাসিব জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত সব ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছেন। তাছাড়া জরিমানার ভয় আছে সবার। তাই ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ।

বাড়তি রয়েছে সব ধরনের ডিম ও মাংসের দাম। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা, বয়লার ১১৫ টাকা। প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, লেয়ার ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতি হালি (৩০০ গ্রাম ওজন) ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫০০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা, মহিষের মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
টিঅ্যান্ডটি বাজারে সবজির দোকান | ছবি: জি এম মুজিবুরআগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। এসব বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁরশ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কুমড়ার জালি প্রতিপিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতিপিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

কলমি শাক প্রতি আটি ৫ থেকে ৭ টাকা, লাল শাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে সিরাজ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান ৮০ টাকা, দেশি ৭০ টাকা, পিঁয়াজ (দেশি) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পিঁয়াজ (ভারতীয়) ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮ 
ইএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।