তিনি বলেছেন, ঘোষিত মজুরি বোর্ডের সাতটি গ্রেডে কোথায়-কোথায় সমস্যা আছে, তা আমরা দেখছি। মূলত ৩, ৪ ও ৫- এই তিনটি গ্রেডের বেতন অন্যান্য গ্রেডের থেকে কম হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সম্মেলন কক্ষে গার্মেন্টস শিল্প শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নূন্যতম মজুরি পর্যালোচনাক্রমে সুপারিশের জন্য গঠিত কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
সচিব বলেন, শ্রমিকদের সমস্যা আমলে নিয়েছে সরকার। শ্রমিকরা সাতটি গ্রেডের মধ্যে তিনটি গ্রেড নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বর্তমান সরকার শ্রমিকবান্ধব। এজন্য বলছি- বেতন নিয়ে কোন ধরনের বিভ্রান্তির কিছু নেই। এক্ষেত্রে ২০১৩ সালের কাঠামোকে অনুসরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের নিশ্চিন্তে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
গামেন্টর্স খাতে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এই খাত। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ খাতে দুষ্টচক্র থাকলেও সবাই মিলে প্রতিহত করতে হবে। বেতন গ্রেডে কোথায়-কোথায় সমস্যা আছে, সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করেছি আমরা।
‘ঘোষিত নূন্যতম মজুরিতে সাতটি গ্রেডের মধ্যে ৩, ৪ এবং ৫ গ্রেড নিয়েই শ্রমিকরা আপত্তি জানিয়েছেন। অন্যান্য গ্রেডের তুলনায় এই তিন গ্রেডের বেতন তুলনামূলক কম। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়েছি। রোববার আমাদের মিটিং আছে হবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
এসময় নতুন করে পর্যালোচনা করার পর কারও বেতনই কমবে না বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি। তবে মজুরি সমন্বয় করা হবে বলে জানান।
আফরোজা খান বলেন, শ্রমিকরা সমস্যায় পড়লে তারা যাতে দ্রুত সমাধান করতে পারেন, সেজন্য একটি হটলাইন খোলা হয়েছে। আসছে সপ্তাহে আরও কিছু নাম্বার যোগ করা হবে। কলকারখানা অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত হবে। হটলাইনের মাধ্যমে শ্রমিকরা ২৪ ঘণ্টাই যেকোনো সমস্যা জানাতে পারবেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদিকুর রহমান, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শিদী, বিকেএমই’র সাবেক সভাপতি শামিম ওসমান।
এছাড়া জাতীয় শ্রমিকলীগের কার্যকরি কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ইন্ডাস্ট্রি অল’র মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, জাতীয় গামের্ন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিন, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহমেদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুল জামান ভূঁইয়া, শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আবদুস সালামসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
জিসিজি/টিএ