বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) শুরু হওয়া এসব মেলার প্রদর্শনী চলবে রোববার (২০ জানুয়ারি) পর্যন্ত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
পোশাক শিল্পের মেশিনারি ও এর সহায়ক পণ্যের ১৮তম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘গার্মেন্টেক বাংলাদেশ ২০১৯’; ১০ম ‘ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক সোর্সিং ফেয়ার’; ১০ম ‘গ্যাপেক্সপো-২০১৯’ এবং ১৪তম ‘প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৯’ শিরোনামে এসব প্রদর্শনীর সম্মিলিতভাবে আয়োজন করেছে জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
প্রদর্শনীগুলোতে ২৪টি দেশের মোট ৫১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এতো দারুণ এক মেলা আমাদের এখানে হতে পারে ধারণা ছিল না। বাইরে দেখেছি, এখন এখানে দেখি। এসব মেলা যেভাবে হচ্ছে তাতে এসব ব্যবসার পরিধি যে আরও বাড়ছে তা সুস্পষ্ট। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে এটিকে আমরা আরো সামনে নিয়ে যেতে চাই।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বে গার্মেন্টস শিল্পে আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত। এজন্য প্রধামন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে ধন্যবাদ জানাই যাদের উদ্যোগে আজ এ মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। এই খাতটি কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ করেছে, ভবিষ্যতেও বেকার সমস্যা সমাধানে এই খাত কার্যকরী ভূমিকা রাখাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র ট্রেড ফেয়ারের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, বিজিএপিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদের খান, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএপিএমইএর প্রথম ভাইস প্রেডিডেন্ট কে এইচ লতিফুর রহমান আজিম, এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল ও জাকারিয়া ট্রেড আ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী টিপু সুলতান ভূঁইয়া।
প্রদর্শনীর আয়োজক সূত্রে জানা যায়, আগের আসরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ভারত , চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইওয়ান, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, থাইল্যান্ড, কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডা, স্পেন, ফ্রান্স ও হংকংয়ের মোট ৫১০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচত্র্যতা এবং মোড়কজাতকরণের কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি তুলে ধরেছে।
আয়োজকরা আরও জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। এমন অবস্থায় এ খাতকে উৎপাদন, নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ, দক্ষতা, পণ্যের মান, বৈচত্র্যতা ও মোড়কজাতকরণ সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।
চারদিনব্যাপী এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসএইচএস/এএ