শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে নওগাঁ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের বাজার দর সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চালকল মালিক গ্রুপের নেতারা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী চাল উৎপাদনে নিয়োজিত হাজার-হাজার অটো ও হাসকিং মিলকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া নওগাঁ জেলায় সিএসডি ও প্রতিটি উপজেলায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার গুদাম নির্মাণ ও পুরাতন অকেজো খাদ্য গুদামকে দ্রুত মেরামত, সারা বছর সংগ্রহ কার্যক্রম রাখাসহ নয় দফা দাবি তুলে ধরেন মিলাররা।
মিলাররা আরও বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য রয়েছে। তাই চালের দাম বৃদ্ধির কোনো শঙ্কা নেই। বরং ক্রমেই চালের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। এখনও সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামের নিচেই রয়েছে খোলা বাজারে চালের বাজার দাম। চালের দর বাড়ার ব্যাপারে কিছু মিডিয়া গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
খোলা বাজারে চালের দাম সরকারি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকলে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাবে না। কৃষকরা যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেদিক খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে চালকলগুলো যেন সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল থেকে চাল উৎপাদন ঠিক রাখতে পারে সেদিকে সরকারের নজরদারি প্রত্যাশা করেন মিলাররা।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মিজানুর রহমান, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, জেলা ধান চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, মিল মালিক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চালকল মালিক গ্রুপের অন্যান্য নেতা, মিল মালিক, চাল ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
জিপি