রোববার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে মাস্টারকার্ড। এতে প্রথম রানার্স আপ হয়েছেন লরেন্স পালমার।
দেশে-বিদেশে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা ও লেনদেন উৎসাহিত করতে মাস্টারকার্ড ২০১৮ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসজুড়ে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছিল। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৫০ জনের বেশি কার্ড ব্যবহারকারী বিজয়ীর মধ্যে নানা ধরনের আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসব পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকক, কোলকাতার ট্রাভেল প্যাকেজ, আইপেড, হাতঘড়ি, ডিনার কুপন এবং গিফট ভাউচার।
মাস্টারকার্ড জানায়, পুরো শীতকাল জুড়ে, বিশেষ করে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাস্টারকার্ডের ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে দেশের ভেতরে এক হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি মূল্যের রিটেইল কেনাকাটা ও অনলাইন কেনাকাটার বিপরীতে ২ পয়েন্ট এবং বিদেশে ২৫ মার্কিন ডলার বা এর চেয়ে বেশি মূল্যের প্রতিটি কেনাকাটার বিপরীতে ৩ পয়েন্ট করে যোগ হয়। যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার কার্ড ব্যবহার করেছেন ধারাবাহিকভাবে তাদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তিনি বলেন, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের রেমিটেন্স কয়েক মিনিটের মধ্যে দেশে পাঠাতে পারছেন। ক্যাশলেস লেনদেনের জন্য গ্রামের মানুষকে জানাতে পারলে কার্ডের ব্যবহার আরও বাড়বে। এসময় তিনি উপস্থিত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল অনুষ্ঠানে বলেন, কার্ড ব্যবহারকারীদের পুরস্কৃত করার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট বা কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটায় বা লেনদেনে উৎসাহিত করতে এই ক্যাম্পেইন হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের জন্য শীতকালই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ মানুষ সাধারণত শীতকালেই বেশি ভ্রমণ ও কেনাকাটা করে থাকে। মাস্টারকার্ড বিশ্বাস করে, বিদেশে ও দেশের ভেতরে লেনদেন অভিজ্ঞতা প্রচারে বাংলাদেশের কার্ডহোল্ডাররা ব্যাপকভাবে সাড়া দেওয়ায় আমাদের এই ক্যাম্পেইন বেশ সফল হয়েছে।
এছাড়াও বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, প্রাইম ব্যাংকের এমডি রাহেল আহমেদ, ডাচবাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম শিরিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ডের পার্টনার ব্যাংকসমূহসহ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। দেশের ১৬টি ব্যাংক থেকে মাস্টারকার্ড ব্রান্ডেড কার্ড দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এসই/এনটি