বিক্রেতারা বলছেন, ছাড় আর অফার থাকায় বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে মেলায়। অন্যদিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলছেন ছাড়ের জন্য নয়, প্রকৃত ক্রেতারা সাধারণত শেষ দিকেই আসেন।
তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে খাবার স্টলগুলোতে। খাবারের মান আর মূল্য নিয়ে বিতর্ক থাকায় আগের চেয়ে কমেছে বিক্রি।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, এদিন ক্রেতা-দর্শনার্থীর পদচারণায় জমে উঠে বাণিজ্যমেলা। দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে দর্শনার্থী। বিকেলের পর পুরো মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীতে জমজমাট হয়ে উঠে। অন্যদিকে স্টলগুলোতে বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও কমেছে খাবার হোটেলে।
শফি উল্লাহ, মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকায় মেলায় আসা হয়নি। আজ কিছু ক্রোকারিজ ও গৃহসজ্জা সামগ্রী নিতে এসেছি। কিছু কেনা হয়েছে, আরও কিছু কেনার ইচ্ছা আছে। তিনি বলেন, এখন ছাড় চলছে দেখে আসিনি, মূলত প্রকৃত ক্রেতারা শেষ দিকে কেনেন। প্রতি বছর এমনই হয়।
ভারতীয় প্যাভিলিয়নের ক্রোকারিজ সামগ্রী বিক্রেতা রাজন মিয়া বলেন, এখন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে, তাই ক্রেতা বেশি। তিনি বলেন, মেলার অর্ধেক সময় পর্যন্ত বিক্রি কম ছিলো। এখন দর্শনার্থী যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে বিক্রি।
অন্যদিকে খাবারের মান আর মূল্য নিয়ে ‘বিতর্ক’ থাকায় বিক্রি কমেছে আগের চেয়ে কম। কেনো বিক্রি কমেছে এমন প্রশ্নের জবাবে নান্না বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাব হাউজের পরিচালক শান্ত বলেন, প্রথম দিকে অনেক স্টল মূল্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। এর প্রভাব এখনও আছে, লোকসানে চলছে ব্যবসা। তবে আগামীতে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এ মেলা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
ইএআর/জেডএস