ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চড়া দামেও পাইকারি আড়তে ফলের ব্যাপক বিকিকিনি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
চড়া দামেও পাইকারি আড়তে ফলের ব্যাপক বিকিকিনি বাদামতলীর ফলে আড়তে আসতে শুরু করেছে আম, রয়েছে অন্য ফলও/ছবি-শাকিল

ঢাকা: রমজান মাসকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই অপেক্ষাকৃত চড়ামূল্যে বিকোচ্ছে বাজারের অধিকাংশ ফল। এর পেছনে মূলত রমজান মাসের বাড়তি চাহিদাকেই মুখ্য হিসেবে দেখছেন পাইকারি ফল আড়তের ব্যবসায়ীরা। তবে রমজানের শেষ দিকে ও আমের যোগান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম কমে যাবে বলেও মনে করছেন তারা। 

এরপরও বাজারে প্রায় সব ধরনের ফলমূল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি বিক্রি চলছে। বিশেষ করে আম, খেজুর ও আপেলের বিক্রি বেশ জমজমাট।

রয়েছে আঙুর; আর আনারস, তরমুজ, পেয়ারা, কলা কিংবা বেলের মতো দেশি ফলের চাহিদাও। কিন্তু চাহিদা থাকলেও বাজারে খুব কমই দেখা মিলছে এসব ফলের। হাতে গোনা দু’একটি আড়তে এসব দেশি ফল দেখা গেলেও সেখানে দামের ঝাঁজে ক্রেতাদের ভেরা দুষ্কর।

তবে আশার খবর, বাজারে মৌসুমি দেশি ফল আমের জোগান বাড়তে শুরু করেছে। যার দরুণ আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আমের ‘দাপটে’ বাজারের অন্য ফলের দাম কিছুটা নিন্মগামী হতে পারে। কিন্তু সেটি ১৫ রমজানের আগে হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  

সোমবার (১৩ মে) সদরঘাটের বাদামতলীর বৃহৎ ফল আড়ৎ ঘুরে এ চিত্রই মিলেছে।  বাদামতলীর ফলে আড়তে আসতে শুরু করেছে আম, রয়েছে অন্য ফলও/ছবি-শাকিলমূলত বাজারে এ মুহূর্তে দেশি ফলের দাম তুলনামূলক বেশি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মিশ্র জাতের দু’এক ধরনের আম। এসব জাতের আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১৪০ টাকা কেজি দরে। খেজুর প্রতি ৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০০-৩০০০ টাকায়। আপেল প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকায়। আঙুর প্রতি ৮ কেজি বক্স বিক্রি হচ্ছে ১৮৫০-২৫০০ টাকা। আনারস প্রতি একশ ৮০০-১৫০০ টাকা। বেল আকার ভেদে ৪০-১০০ টাকা। আর তরমুজের মৌসুম শেষের দিকে থাকায় এর দাম অত্যধিক বেশি বলেই বলছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। বাজারে প্রতিটি ছোট আকারের তরমুজ বিক্রি চলছে ১০০-১৫০ ও মাঝারি ১৮০-৩৫০ টাকায়, বড় সাইজের তরমুজের দেখা মিলছে না।     

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। কিন্তু ফলের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন না। ফলের দাম কেউ ইচ্ছাকৃত বাড়ায়না! রমজানে ফলের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায় যে কারণে এর দাম এমনি এমনি বাড়ে! এছাড়া এসময় পণ্য লোডিং-আনলোডিং ও ট্রাক ভাড়াসহ সবকিছুর জন্যই ব্যবসায়ীদের গুণতে হয় বাড়তি টাকা। যার প্রভাব পুরো বাজারে পড়ে।  

তবে এতে ক্রেতাদের খুব বেশি সমস্যা হয়না বলেই মত তাদের। সাধারণ ক্রেতারা এসব ব্যাপারে অনেক বেশি সিদ্ধহস্ত বলেই ফলের বাজারে দাম বৃদ্ধির পরও বিক্রির রেশ উপরের দিকেই থাকে। তবে আগামী কয়েক দিনে আমের চালান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফলের দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকবে বলে জানান তারা।  

কথা হয় মায়ের দোয়া পাইকারি আড়তের প্রোপাইটার রিয়াজ মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বাজারে দাম কিছুটা বেশি। এর কারণ, এখন দেশি ফল বাজারে তেমন নেই। আম কেবল আসতে শুরু করেছে। তরমুজের মৌসুম শেষ রমজানের আগেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে বিদেশি ফলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যে কারণে এগুলোর দাম বেড়েছে। তবে আগামী কয়েকদিন পর এসবের দাম কিছুটা কমতির দিকে যাবে।  

খুচরা বাজারে ফলের চাহিদা ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ী ইউসুফ উদ্দিন ও ইয়াসিন বলেন, ভিক্টোরিয়া পার্কের এখানে আমাদের দোকান। দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি তবে বিক্রি কম নয়। কারণ রমজানে মানুষ ফল বেশি কেনে। স্বাভাবিক সময়ে দুই দিনে যে পরিমাণ বিক্রি হয়, এখন এক দিনে সেটা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাজারে দেশি ফলের আমদানি কম।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯ 
কেডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।