রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বা জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি ঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কাছ থেকে ফসল ঋণ আদায় এক বছরের জন্য স্থগিত করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খেলাপি ঋণের জন্য প্রযোজ্য ডাউনপেমেন্টের শর্ত শিথিল করে পুরনো ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ করে দ্রুততম সময়ে নতুন ঋণ বিতরণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কোনো কৃষক যেন ঋণ পেতে বিলম্ব বা কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে লক্ষ্যে ব্যাংকগুলো যথাযথ তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণ নেবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক স্বপ্রণোদিতভাবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কেইস টু কেইস ভিত্তিতে ফসল ঋণের সুদ মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা দায়ের না করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনাদায়ী ঋণগুলো তামাদি হওয়া প্রতিবিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলাগুলোর তাগাদা আপাতত বন্ধ রেখে সোলেনামার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তিকরণ, ফণী’র কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অনুকূলে কৃষি ঋণ বিতরণসহ অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে মাসিক ভিত্তিতে অবহিত করতে হবে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বেশ কিছু জেলায় (ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, লক্ষ্মীপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, বাগেরহাট, খুলনা) কৃষি খাতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
‘ফণী’ পরবর্তী কৃষি খাত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি ঋণ সুবিধা দিতে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এসই/জেডএস