ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের আমেজ কাটেনি ব্যাংকপাড়ায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৯
ঈদের আমেজ কাটেনি ব্যাংকপাড়ায় ব্যাংকপাড়ায় কাটেনি ঈদের আমেজ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদুল ফিতর শেষে অফিস শুরু হলেও ঈদের আমেজ রয়ে গেছে ব্যাংকারদের মাঝে। পাঁচদিনের ছুটি শেষ হলেও এখনো ব্যাংকপাড়ায় জনসাধারণ ও গ্রাহকদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সরকারি ব্যাংকগুলোতে ভিড় ছিল সঞ্চয়পত্রের উপকারভোগীদের। 

রোববার (৯ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও অন্যান্য শাখা অফিস ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতি অনেক কম।

দেশে কার্যরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকেও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও সেভাবে দেখা যায়নি। অধিকাংশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখাগুলোতে কর্মকর্তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

যারা অফিসে এসেছেন তাদের একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে। ছুটির পর প্রথম সরকারি কার্যদিবস হওয়ায় উপস্থিতি কম বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।  

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের স্থানীয় শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ ব্যাংকিংয়ের জন্য গ্রাহকদের তেমন কোনো ভিড় নেই। তবে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সঞ্চয়পত্রের উপকারভোগীরা।  

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ছুটির কারণে সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা তুলতে পারিনি। ঈদের পরে আজ ব্যাংক খোলায় মুনাফার টাকা নিতে এসেছি।  

ঈদের আমেজ রয়ে গেছে ব্যাংক পাড়ায়।  ছবি: বাংলানিউজসাহাবুদ্দিন আহমদের মতো শতাধিক গ্রাহক সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় সকালেই উপস্থিত হয়েছেন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা নিতে। ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে ৪ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। পরে যোগ হয়েছে সরকারি ছুটি শুক্র ও শনিবার। সব মিলিয়ে ব্যাংকগুলোতে ছুটি ছিল একটানা পাঁচদিন।

মতিঝিলে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের স্থানীয় শাখা ঘুরে দেখা গেছে, সঞ্চয়পত্রের সুদ, বিদ্যুৎ বিল, ট্র্যাভেল ট্যাক্স প্রদানকারীদের দুই-একজন কাউন্টারে উপস্থিত হয়েছেন। নগদ জমা ও উত্তোলনের কাউন্টারগুলোকে কোনো গ্রাহকের দেখা মেলেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বছরে নির্বাচনের পর মানুষ এখনো বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এই সপ্তাহের আছে আর দুইদিন। এদুদিন এভাবেই যাবে। হয়তো আগামী সপ্তাহ থেকে আবার জমে উঠবে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম।

সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. সাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। আসার পরে হয়তো জমজমাট হবে ব্যাংক পাড়া।

একই কথা বলেছেন রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল হোসেনও। তিনি বলেন, ঈদের পরে প্রথম কার্যদিবসে গ্রাহকের উপস্থিতি কম মনে হতে পারে। তবে আমাদের নিয়মিত গ্রাহকেরা সকালের দিকেই লেনদেন শুরু করেছেন।

মতিঝিলে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতেও উল্লেখ করার মতো চোখে পড়েনি গ্রাহকের উপস্থিতি ও লেনদেন। সোনালী-রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় কিছু গ্রাহককে লেনদেন করতে দেখা গেছে। বেসরকারি দু-একটি ব্যাংকে আমদানি-রপ্তানির এলসি খোলা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।