সোমবার (১০ জুন) সকালে বেনাপোল বন্দর এলাকা ঘুরে পণ্য খালাসে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যস্ততা দেখা যায়।
ব্যবসায়ী ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে জানান, এবার ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মিলে প্রায় এক সপ্তাহ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্য্ক্রম বন্ধ ছিল। এতে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিতে পারেনি। তাই ঈদের ছুটি শেষে সব ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিচ্ছেন। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ৬ দিনে ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বাংলানিউজকে জানান, সরকারি ছুটি শেষে অফিস খুলেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা কর্মস্থলে ফিরেছেন। পণ্য খালাসে সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রাজস্ব গ্রহণকারী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এআরএম রকিবুল হাসান জানান, ০৯ জুন বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের কোষাগারে ১৮ কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব জমা পড়েছে। যা অনান্য সময়ের চাইতে প্রায় দ্বিগুণ বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মনির হোসেন মজুমদার বলেন, ঈদ শেষে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের চাপ অনান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। খালাসকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল, ও খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী। রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, গার্মেন্টস সামগ্রী ও ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন পণ্য।
জানা যায়, শবে কদর ও ঈদের ছুটি মিলে রোববার (০২ জুন) থেকে শুক্রবার (০৭ জুন) পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ০৮ জুন অফিস খুললেও ঈদের আমেজ না কাটায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মব্যস্ততা কম ছিল। সোমবার (১০ জুন) থেকে বন্দরে স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততা ফিরে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
আরএ