ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উপ-পরিচালকের অপসারণ দাবিতে বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
উপ-পরিচালকের অপসারণ দাবিতে বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিক্ষোভ

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে অতিরিক্ত ফি না পেয়ে পরিবহন শ্রমিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বন্দরের উপ পরিচালক (ডিডি) মনিরুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।

সোমবার (১০ জুন) দুপুর থেকে অবরোধে উভয় দেশে বন্দরে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। পরে বিকেলে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা।

 

স্থানীয় ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের যাত্রীরা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে পারাপার হন। বিদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারে বন্দর ব্যবহারের জন্য সরকার নির্ধারিত ৪২ টাকা ৭৫ পয়সা ফি বন্দর কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে ওই ফি পরিশোধ করে এলেও সোমবার স্থলবন্দরের ডিডি মনিরুল ইসলাম যাত্রী প্রতি ৪২ টাকা ৭৫ পয়সার স্থলে একশ টাকা দিতে হবে বলে বন্দরের যাত্রী পরিবহনে নিযুক্ত পরিবহন শ্রমিকদের জানান।

অতিরিক্ত এ টাকা দিতে অস্বীকার করায় পরিবহন শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করাসহ শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় বন্দরের ডিডি মনিরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করে বুড়িমারী স্থলবন্দর নৈশবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ করে। ফলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্যবাহী কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়ে।  

খবর পেয়ে লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস সরকার, পাটগ্রাম সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা, পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী সরকার বুড়িমারী স্থলবন্দর নৈশবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর নৈশবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক ইমাম আজম বাংলানিউজকে জানান, স্থলবন্দরের ডিডি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের হয়রানির করতে অতিরিক্ত একশ টাকা সার্ভিসচার্জ আরোপ করেছেন। একশ টাকা না দিলে যাত্রী পরিবহনে নিযুক্ত পরিবহনের কোনো লোক বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না বলে হুমকি দেন। এছাড়াও তিনি অকথ্য ভাষায় শ্রমিকদের গালি- গালাজ করেন।  

এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দরের উপ- পরিচালক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে বৈঠকে রয়েছেন বলে ফোন কেটে দেন।

লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) তাপস সরকার বাংলানিউজকে এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।