একইসঙ্গে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) স্ট্যান্ডার্ড প্রতিপালনপূর্বক সিএম লাইসেন্স গ্রহণের বাধ্যবাধকতা বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জারি করা এসআরও নং ২২০-আইন/২০১৮ প্রজ্ঞাপনের রং সংশ্লিষ্ট অংশ ক্রমিক নং ২৬, ২৭ ও ২৮-এর কার্যকারিতা পাঁচবছরের জন্য স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সভায় এই দাবি জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান মাহমুদ, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বিএসটিআই’র পরিচালক (সিএম) এস এম ইসহাক আলী।
শিল্পসচিব বলেন, সরকার দেশের একই ধরনের শিল্প-প্রতিষ্ঠানসমূহকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনের জন্য বিভিন্ন শিল্পনগরী ও শিল্পপল্লী স্থাপন করছে। রং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য একটি পৃথক জোন স্থাপন করতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন শিল্পসচিব।
রুপালি হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ উৎপাদিত রঙের মান বজায় রাখা ও উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যাতে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতন রয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শিল্প সচিব আরও বলেন, ব্যবসায়িক স্বার্থেই রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হবে এবং সেটি বজায় রাখতে হবে। দেশিয় পণ্যের মান খারাপ হলে বিদেশি পণ্যে বাজার দখল করে নেবে।
কোনো বিষয়ে কতদিন সময় প্রয়োজন সেটি বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হলে তা বিএসটিআই’র কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন করা হবে বলেও জানান শিল্প সচিব।
দেশিয় শিল্প সুরক্ষার স্বার্থে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআই’র পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ল্যাবরেটরি সহায়তাসহ সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন শিল্প সচিব।
শিল্প সচিব সব রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সিং বিষয়ে যথাযথভাবে অবহিত করতে একটি ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য বিপিএমএর প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
জিসিজি/এএটি