খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু না এলে এ বছর তারা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। তবে, ঈদকে ঘিরে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক খামারি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় গরু-ছাগলে জম-জমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকি থাকায় এবার মানসম্পন্ন পশু পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় পুশর হাট যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল। এখান থেকে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা গরু কিনে থাকেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু শার্শা উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১১শ’ খামারের গরু বিভিন্ন পশুর হাটে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। তবে, গো-খাদ্যের দাম না কমালে লোকসানের আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে পশু খামারের বিস্তার হওয়ায় ভারতীয় গরু আনা বন্ধের দাবি জানান খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, ভারতীয় গরু-ছাগল না এলেও কোরবানির পশুর হাটে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। যশোরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩টি পশুর হাট রয়েছে। এর বাইরে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো ১১টি অস্থায়ী হাট গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট হচ্ছে বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকির জন্য আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আশা করছি এবার পুষ্টি মানসম্পন্ন পশু পাওয়া যাবে এসব হাট থেকে।
বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাটের সভাপতি ইয়াকুব আলী বিশ্বাস জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাটের সব প্রস্তুতির পরে স্থানীয় খামারিসহ ব্যাপারিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। আশা করছি কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না।
হাটের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বাংলানিউজকে জানান, বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাটটি সার্বক্ষণিক প্রশাসনের তদারকিতে আছে। এজন্য পকেটমার, দালাল ও ছিনতাইকারী মুক্ত এ হাট।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর দেশীয় খামারিরা অনেকটা লাভের মুখ দেখবেন। তবে ক্রেতাদের একটু চড়া দামে এবার পশু কিনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা আগস্ট ০৪, ২০১৯
আরএ