তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকা-কানাডায় তৈরি পোশাক রপ্তানি করলে এক শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে। এজন্য নতুন করে ২৮শ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
সোমবার (০৫ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রপ্তানির বিপরীতে সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তার বিদ্যমান হার পুনর্নির্ধারণ ও নতুন নতুন খাতে নগদ সহায়তা বিষয়ে সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, আমরা রপ্তানি খাতে প্রণোদনা দিয়ে থাকি। আজকের সভাটি ছিল আমাদের বাৎসরিক সভা। আজ আমরা নতুন কিছু খাতে নগদ সহায়তা বাড়িয়েছি। রফতানিতে প্রণোদনা বাড়ানোর জন্য ২৪টি প্রস্তাব পেয়েছিলাম। এর মধ্য থেকে আমরা যাচাই-বাছাই করে বেশ কয়েকটি পণ্যে প্রণোদনা বাড়িয়েছি। এর মধ্যে গার্মেন্টখাতে ইউরোপ আমেরিকায় পণ্য রফতানিতে এক শতাংশ প্রণোদনা, মেডিক্যাল সার্জিক্যাল যন্ত্রাংশে ১০ শতাংশ, মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি ও শিং রপ্তানিতে, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য, সফটওয়ার, হার্ডওয়্যার ও আইটিইএস পণ্য, শস্য, শাক সবজি, পেট বোটলে, সুপারি পাতার তৈরি পণ্য, ঝুট কাপড় দিয়ে তৈরি পণ্যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে। এছাড়া সি ক্যাটাগরির সিনথেটিক পণ্য, ইপিজেডের অ্যাগ্রোপ্রসেসিং পণ্যে ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতের মধ্যে ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ওপর আবেদন করলে সেখানে নতুন করে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের নিয়ম অনুযায়ী ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে প্রণোদনার আওতায় আসা সবাইকে ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও শতভাগ কাস্টমসের আওতাভুক্ত হতে হবে বলে জানান তিনি।
অর্থ সচিব বলেন, পোশাক খাতে যারা কোনোদিন প্রণোদনা পায়নি তাদের জন্য এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে ১ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে। আমরা যদি পোশাক খাতে ২৮শ কোটি টাকা দেই তাহলে এর চেয়ে বেশি লাভ হবে। বর্তমানে এখাতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। নতুন করে আরো ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা যোগ হলো।
রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা প্রসঙ্গে অর্থ সচিব বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে সরকার এখন থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে বাজেটে। এক্ষেত্রে একটি নিয়ম অনুসরণ করে সবাইকে রেমিট্যান্স পাঠাতে হবে। সেটা হলো ১৫০০ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠালেই তাদেরকে নিরীক্ষার আওতায় আসতে হবে। এ বিষয়ে আজ অনুমোদন দেওয়া হলো। এ সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে সবাইকে জানিয়ে দিবে বলে জানান তিনি।
কর্মসংস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্যই রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের মূল উদ্দেশ্যই হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। প্রতি বছর আমাদের ২ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আমরা কাস্টমস ট্যাক্স কম পাচ্ছি তার মানে আমাদের গার্মেন্ট যন্ত্রাংশ ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে। এতে করে দেশে নতুন শিল্প কারখানা হবে। পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৮.২ শতাংশ অর্জন করাই মূল লক্ষ্য। আমাদের এখন যারা বেকার তারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। এজন্য আমাদের টেকনিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস