সময় নষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকে সাশ্রয়ে নিজের সুবিধাজনক জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ থাকায় নেছার আহমেদের মতো সারাদেশের লাখ লাখ গ্রাহক এখন বিকাশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন।
গত বছরের জুলাইয়ের উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার বিদ্যুৎ বিল বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর গ্রাহকগণ।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুধারাম-১ এর একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের এই কেন্দ্রের ৩০ শতাংশ গ্রাহক এখন বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করছেন।
তিনি আরও জানান, আমাদের এই সমিতির আওতাভুক্ত অনেক চর এলাকার গ্রাহক আছেন, তাদের জন্য বিকাশে বিল পরিশোধ যেন আশীর্বাদ। সময় এবং কষ্ট করে দূর-দুরান্ত থেকে এসে বিল দেওয়ার ভোগান্তি যেমন দূর হয়েছে তেমনি যাতায়াত খরচও সাশ্রয় হয়েছে।
গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, উত্তরাঞ্চলের নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) গ্রাহকরা বর্তমানে বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার সেবা পাচ্ছেন।
গ্রাহক তার নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই বিলের পরিমান চেক করতে পারেন এবং বিল পরিশোধ করতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে বিল পরিশোধ করা যায়। একজন গ্রাহক মাসে সর্বোচ্চ দুইটি বিল বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন।
নেসকোর গ্রাহক রাজশাহী শহরের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, নিজের বাড়ির সব ধরনের ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ নিজেই করেন। এতদিন ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে তার তিনতলা বাড়ির সবগুলো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হতো তাঁকে। কখনও কখনও ২ থেকে ৩ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হতো। এখন এসব ঝামেলা এড়াতে তিনি বিকাশে বিল পরিশোধ করছেন, এতে তার সময় যেমন বাঁচে তেমনি খরচও কমে।
বিকাশের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, বিদুৎ বিল দেওয়ার সঙ্গে বিড়ম্বনা শব্দটির কোনো যোগাযোগ থাকবে না, সেলক্ষ্যে কাজ করে চলেছে বিকাশ। দেশের সবগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাভুক্ত গ্রাহক যেন তাদের ঘরে বসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ পান সেদিকেই এগিয়ে চলেছি আমরা। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্শীবাদ ব্যবহার করে একটি অ্যাপেই গ্রাহকের সব ধরনের বিল পেমেন্টের সুযোগ তৈরি করে তাদের জীবনকে আরও সহজতর করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
জয়পুরহাট জেলার ভগবানপুর খামারি রেজাউল করিম বলেন, একটা সময় বছরের পর বছর অপেক্ষা করে বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়া যেত না। এখন ঘরে বসেই বিদ্যুৎ সংযোগ মিলছে। আর সেই বিদ্যুতের মতো জরুরি সেবার বিল মোবাইলের মাধ্যমে দিতে পারায় সত্যিকার অর্থেই জীবন অনেক সহজ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এএটি