আশা করা হচ্ছে, শুক্রবার (০৯ জুলাই) থেকে বরিশালের সব হাটে পুরোদমে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের ১০ উপজেলায় এবারে মোট ৬৬টি পশুর হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় একটি, বাবুগঞ্জে দু’টি, বাকেরগঞ্জে ছয়’টি, গৌরনদীতে দু’টি, মুলাদিতে দু’টি, বানারীপাড়ায় তিন’টি, হিজলায় সাত’টি ও মেহেন্দিগঞ্জে দু’টি রয়েছে। অপরদিকে, অস্থায়ী হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় সাত’টি, বাবুগঞ্জে চার’টি, উজিরপুরে ছয়’টি, বাকেরগঞ্জে চার’টি, গৌরনদীতে একটি, আগৈলঝাড়ায় তিন’টি ও মুলাদীতে ১০টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরের পোর্টরোড কসাইখানা, বাঘিয়া আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের দু’টি স্থায়ী হাট রয়েছে। যার পাশাপাশি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নগরের রূপাতলীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে, কালিজিরা বাজার সংলগ্ন এলাকা, চৌমাথা থানা কাউন্সিলের বিপরীত পাশে, কাউনিয়া টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন মাঠে একটি করে অস্থায়ী গরুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, অনুমোদিত হাটগুলোতে যথানিয়মে পশু সরবরাহ করবে ইজারাদাররা। হাটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ সার্বিক কাজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সঙ্গে সিটি করপোরেশন সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, কেউ যেন পশু বিক্রেতাদের টানা-হেঁচড়া না করেন। তারা যে হাটে যেতে চান, সে হাটেই তাদের যেন যেতে দেওয়া হয় এ বিষয়ে হাট ইজারাদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি হাট ইজারাদার বা পরিচালনাকারীদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের মেশিন, পুলিশ ক্যাম্প, পশুর চিকিৎসা ও গুণগত মান নিশ্চিত করণে মেডিকেল ক্যাম্প, মোবাইল ব্যাংকিং বুথ থাকছে। এছাড়া নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা পশু ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/