তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটিই প্রথম পুঁজিবাজারে আসছে।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) শেরে বাংলা নগরে অনমনীয় ঋণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির (স্ট্যান্ডিং কমিটি অন নন-কনসেশনাল লোন) ২৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভার আলোচ্য বিষয় ছিল ‘শ্রীপুর ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঋণগ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন’। সভায় অর্থমন্ত্রী দু’টি শর্তের মাধ্যমে প্রকল্পটির ঋণগ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন করেন। প্রথম শর্ত- অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোম্পানির আর্থিক তারল্য সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং দ্বিতীয়ত পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার ছাড়তে হবে। এর মাধ্যমে বহু প্রতিক্ষিত সরকারি কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে আসছে বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড।
অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, এভাবেই ধীরে ধীরে চাহিদা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে আসবে সরকারি অন্য কোম্পানিগুলো।
‘শ্রীপুর ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড। গাজীপুর জেলা ও ময়মনসিংহ জেলার ক্রমবর্ধমান শিল্পাঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। জার্মানভিত্তিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণগ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি আগামী ২০২১ সালের মার্চে সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিন বছরের প্রাপ্যতা সময়কাল বিবেচনায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে।
বি-আর পাওয়ারজেন একটি সরকারি লাভজনক কোম্পানি। এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে আসার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা একটি সরকারি লাভজনক কোম্পানিতে বিনিয়োগে সম্পৃক্ত হতে পারবে। বি-আর পাওয়ারজেন চট্টগ্রামের মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে সরকারি তহবিলে প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। প্রকল্পটিতে আগামী জানুয়ারি-২০২০ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। তাই ওই সময় থেকে কোম্পানিটির আর্থিক তারল্য বাড়বে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীপুর প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজতর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমআইএস/ওএইচ/