বুধবার (০৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভায়াগ্রা চালান আটকের বিষয়টি সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৬ মে বেনাপোল বন্দর থেকে সন্দেহজনকভাবে চালানটি আটক করে এবং পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ল্যাবে পাঠিয়ে ভায়াগ্রা বলে নিশ্চিত হয়।
অভিযুক্ত আমদানিকারক হচ্ছেন, ঢাকার ৪৭/সি মিটফোর্ড রোড এলাকার বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ ও আমদানিতে সহযোগিতাকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের সাইনি শিপিং সার্ভিসেস।
কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, আমাদের কাছে আগে থেকে গোপন তথ্য ছিল মিথ্যা ঘোষণায় (সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট) বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক আমদানিকারক ভায়াগ্রার বড় একটি চালান পাচার করছে। কাস্টমস সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এ মাদকদ্রবের চালান জব্দ করে। পরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তা কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন মানসম্পন্ন ল্যাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটা ভায়াগ্রা। অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সংশিষ্ট আমদানিকারকের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্রে জানায়, এটি দেশে এ যাবতকালের আটকের মধ্যে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান। মাদকদ্রবের চালানটি আটক নিয়ে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থ্যাকে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পাচারের সময় ২০০ কেজি ভায়াগ্রার চালান আটক করে কাস্টমস সদস্যরা। এসব আমদানিকারকের মত অসংখ্য ব্যবসায়ী আছেন যারা এভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবাধে আমদানিযোগ্য পণ্যও পাচার করছে।
তারা আরো জানায়, এসব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধভাবে আমদানিতে সহযোগিতা করে তারাও হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এতে সরকারও শত শত কোটি রাজস্ব হারাচ্ছে। ফলে এ বন্দরে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না। মাঝে মধ্যে দু-একটা চালান আটক হলেও অধিকাংশ থাকছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সহযোগী কাস্টমস সদস্যরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এতে কোনো ভাবেই রোধ হচ্ছেনা অবৈধভাবে আমদানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচ