ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পশু বেচা-কেনা আফতাবনগর হাটে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পশু বেচা-কেনা আফতাবনগর হাটে আফতাবনগর হাট, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: এবার ঈদুল আজহার আগে এখন পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু ঢুকতে পারেনি দেশে। তাই হাটগুলোয় উঠেছে শুধু দেশীয় গরু। আর গরুর দামও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই খুশি।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার আফতাবনগর কোরবানি পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্রই। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকার গরুও আছে এ বাজারে।

তবে রাত থেকে বৃষ্টির জন্য একটু ধকল পোহাতে হয়েছে পশু ও পশু ব্যবসায়ীদের।

এ বিষয়ে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকার ব্যবসায়ী আহমেদ জুবায়ের বলেন, বৃষ্টির জন্য মাঠে কাঁদা হওয়ায় গরু রাখতে একটু ঝামেলা হচ্ছে। ঈদের কয়েক দিন আগে রাস্তায় যানজট বেড়ে যায়। এসময় বিপুল পরিমাণ গরু আনা হয় বলে সুবিধামতো স্থানে গরু রাখা যায় না। তাই একটু আগেভাগেই গরু নিয়ে এসেছি, যেন পছন্দমতো জায়গা পাওয়া যায়।

হাতিরঝিল সংলগ্ন প্রধান গেট থেকে একটু সামনে গেলেই পিচঢালা রোডের দু’পাশ ঘিরে সারিবদ্ধভাবে বিক্রির জন্য বেঁধে রাখা হয়েছে কোরবানিযোগ্য সব গরু। সড়কের এক পাশ দিয়ে গরু ভর্তি ট্রাক ঢুকছে। অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। রোডের পাশ দিয়ে ছোট খোলা জায়গাতেও বেঁধে রাখা হয়েছে কোরবানির পশু।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে এখনও পশু আসছে এ হাটে। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে অনেকে আবার গরুর গলায় জরির মালাও পরিয়েছেন। আর দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলেই মনে করছেন বিতক্রেতারা।

এ বিষয়ে কথা হয় রাজশাহীর থেকে আসা ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। সকালে বৃষ্টির মধ্যেই চারটি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। এরমধ্যে ছোট দুইটির ওজন ২ মণের একটু বেশি আর বড় গরু ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ। ছোট গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার। অন্যদিকে, ৪ মণের গরুর দাম দেড় লাখের বেশি।

তিনি বলেন, রাজধানীতে আরও অনেক হাট আছে। কিন্তু সুদূর রাজশাহী থেকে এ হাটে গরু নিয়ে এসেছি, যাতে তাড়াতাড়ি গরুটি বিক্রি করতে পারি। শুনেছি এ হাটে অনেক শিল্পপতিরা গরু কিনতে আসেন। দাম যে খুব বেশি ধরা হয়েছে, এমন না।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, দাম একটু বেশি চাইলেও এবার গরুগুলো অন্যবারের তুলনায় বেশ আকর্ষণীয়। এ বিষয়ে কথা হয় তেজগাঁও এলাকার ব্যবসায়ী জিয়ারত হোসেনের সঙ্গে। দুপুরে ছোট ভাই আর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গরু কিনতে আসেছেন।

তিনি বলেন, এখনও কেনা হয়নি গরু, ঘুরে দেখছি, দরদাম করছি। যেটা নিজের সামর্থের মধ্যে হয়ে যাবে, সেটাই নিয়ে নেবো। এবার হাটে অপেক্ষাকৃত দেশি জাতের ছোট আকারের গরু বেশি। তবে বড় ও মাঝারি আকারের গরুও আছে। ছোট গরু ৫০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মাঝারি ও বড় আকারের গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

রাজশাহী, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।