বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চেম্বার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন।
নতুন এই ভোটার তালিকা সর্বমোট ভোটার ২ হাজার ৪৬৫ জন।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও আয়কর সনদ যাচাই করেছি। যাদের কাগজপত্র নির্ভুল পেয়েছি, কেবল তাদেরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। সিলেট চেম্বারের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতে যাতে ভোটার তালিকায় গলদ না হয়, সেজন্য তারা দিক-নির্দেশনা দেবেন। অবশ্য সবকিছু অনলাইনে চলে এলে ভুয়া ভোটার থাকার আশঙ্কা ১ শতাংশও থাকবে না।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শমিউল আলম বলেন, নবায়ন থেকে বাদ পড়াদের ৪৬ জনের মধ্যে ৭ জন আপিল করেছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ২ জন সদস্য পদ ফিরে পেয়েছেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন বলেন, বিগত দিনের ভোটার তালিকা আমরা আমলে না এনে নবায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা এনেছি। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আসাদ উদ্দিন সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বারের আপিল বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন ও হাসান আল রাশেদ দীপু, নির্বাচন বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ ও অ্যাড. জুনেল আহমদ।
পুরনো তফসিল অনুযায়ী, গত ২৭ এপ্রিল সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু ভোটার বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সাবেক কমিটি ৪শ ১১ জনকে সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। সাবেক নির্বাচনী বোর্ডে ভোটার বাছাইকালে ৮৮ জনের আয়কর সনদ জাল ধরা পড়ে। এক ব্যবসায়ী এ সংক্রান্ত অভিযোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাল টিআইএন সনদ দিয়ে সদস্যপদ দেওয়ার অভিযোগে গত ১৮ মার্চ সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত করে। এরপর মন্ত্রণালয়ের এক সদস্যের কমিটির তদন্তেও অভিযোগের সত্যতা মিলে।
চেম্বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদের নেতৃত্বাধীন বিগত পরিষদ ভোটার তালিকায় গলদ বিতর্কে জড়ান। ব্যবসায়ী তাহমিন আহমদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। একপর্যায়ে আদালত অবমাননা থেকে রেহাই পেতে গত ৩১ মে শিপার আহমদের নেতৃত্বাধীন পরিষদ অনেকটা নীরবেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর সিলেট চেম্বারের প্রশাসকের দায়িত্ব পান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন। গত ১৭ জুন চেম্বারের নির্বাচন ও আপিল বোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এনইউ/এএটি