সেইসঙ্গে প্রশাসক নিয়োগ কেন বেআইনি ও আইনানুগভাবে অকার্যকর বলে গণ্য হবে না, এ মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবকে (টিও-১ অধিশাখা) চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (০৭ আগস্ট) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নির্বাচনী কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ করেন।
এরআগে মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (নম্বর ৮৭৬৫/২০১৯) দাখিল করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ও হাসিব বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী কামাল আহমদ।
কামাল আহমদ রিট পিটিশনে ৫ জনকে বিবাদী করেছেন। তারা হলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম-সচিব (পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন), উপ-সচিব (টিও-১ অধিশাখা), সচিবালয়ে সিলেট চেম্বার অব কমাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, চেম্বার অব কমার্স প্রশাসক আসাদ উদ্দিন এবং নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন।
শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে অংশ নেন অ্যাডভোকেট নাদিয়া মাহতাব ও সনিয়া সরদার। বিবাদী পক্ষে অংশ নেন ইয়াসমিন বেগম বিথি, ডিএজি, আবু নাসের এএজি এবং কহিনুর আক্তার এএজি।
শুনানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন ও অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিব মো. ওবায়দুল আজমের এক আদেশের সূত্র ধরে গঠিত বেঞ্চ এ বছরের ৩০ মে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গঠিত নির্বাচনী ও আপিল বোর্ডের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (টিও-১ অধিশাখা) তথা ৩নম্বর উত্তরদাতা (সংযোজন-ই) ১৮ এপ্রিল দেওয়া আদেশ লঙ্ঘন করেছেন। ৫ নম্বর বিবাদীকে সিলেট চেম্বারের সিলেট চেম্বারের বোর্ড অব ডিরেক্টর এবং সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনী আপিল বোর্ডের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে রুল জারি করা হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার উচ্চআদালতের আদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালককে (বাণিজ্য সংগঠন) অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে কামাল আহমদ বলেন, গত ৩০ মে এক আদেশে নিয়োগ করা চেম্বার প্রশাসক, নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড পরিবর্তনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন পরিচালক বরাবরে ৩১ জুলাই লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তিনি উচ্চআদালতে রিট করেন। এতে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা ৩০ মে আদেশের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চেম্বার অব কমার্সের আসন্ন নির্বাচনও স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চআদালত।
তবে আদালতের আদেশের পরও নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে চেম্বার প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী বোর্ড।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক আসাদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের নির্দেশ জানতে পেরেছেন। এরপরই তারা নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন। ঈদের বন্ধ শেষে অফিস-আদালত খোলার পর তারা আদালতে কারণ দর্শাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/