এর মধ্যে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ক্রেতা টানতে কিছু ব্যাপারী-খমারি ভারতীয় ধবল ষাঁড় ও বলদের শরীরে লাগাচ্ছেন কিউট ট্যালকম পাউডার। মূলত সাদা দেহ আরও সাদা দেখাতেই পাউডার দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ক্রেতার নজর কাড়তে বড় বড় গরুর নাম দেওয়া হয়েছে সুপরিচিত কিছু নামের আদলে। পাগলু, বাহুবলী, সিন্দাবাদ, কালা পাহাড়সহ বাহারি নাম শোনা যাচ্ছে গাবতলী পশুর হাটে।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিনভর গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে বাংলানিউজের চোখে।
১০৫টি ভারতীয় গরু হাটে তুলেছেন শহীদুল ইসলাম ব্যাপারী। প্রতিটি গরুর জন্য দৈনিক একটি কিউট পাউডার তার বরাদ্দ। প্রতিটি পাউডারের দাম ১৪০ টাকা।
গরুর শরীরে পাউডার লাগানো প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে শহিদুল ইসলাম বলেন, গরুর গায়ে পাউডার দিলে সৌন্দর্য বাড়ে। শরীরে ময়লা থাকলে সাদা বেশি দেখায়। এছাড়া এই পাউডার দিলে গরু ঘামে কম। আরাম পায়।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের খামারি শাহিনুল ইসলাম ৫৮টি ভারতীয় বড় গরু হাটে তুলেছেন। এসব গরু ছয় থেকে এক বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রামচন্দ্রপুর সীমান্ত থেকে কেনা। ওই সময় প্রতিটি বলদ এক লাখ এবং ষাঁড় দেড় লাখ টাকায় কেনা। এরপরে দুলাল চাকদার খামারে এসব ভারতীয় গরু পালা হয়।
গরুগুলো ভারতীয় রাজস্থান ও হরিয়ানা রাজ্য থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এক সময় এসব গরুর দেহে হাড়ের ফ্রেম ছাড়া কিছুই ছিল না। বাংলাদেশে এসে এসব গরু বেশ মোটাতাজা হয়েছে। প্রতিটি গরুর মাংস ১৩ থেকে ১৮ মণ হবে। ১৩ মণ মাংস হবে এমন বলদ তিন লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, ১৮ মণ মাংস হবে এমন ষাঁড়ের দাম পাঁচ লাখ টাকা।
দেশীয় গরুর তুলনায় দামে সস্তা হওয়ায় ক্রেতা চাহিদাও বেশি ভারতীয় পশুতে। ফলে শাহিনুলের ৫৮টি গরুর মধ্যে ৩০টিই লাভে বিক্রি হয়ে গেছে।
দুলাল চাকদার খামারের মালিক শাহিনুল বাংলানিউজকে বলেন, ছয় মাস থেকে এক বছর আগে ভারতীয় গরু আমাদের হাতে আসে। এরপরে খামারে যত্ন করে বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি গরুর তুলনায় এসব দামে সস্তা। মাংসও বেশি। ফলে গরু লাভে বিক্রি করেছি। বাকিগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমআইএস/টিএ