মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কোরাবানিদাতারা এ হতাশার কথা প্রকাশ করেন।
ধানমন্ডি ২৭ এলাকার ব্যবসায়ী নাসের আহমেদ এবারের ঈদে এক লাখ ২০ হাজার টাকার একটি বড় গরু কোরবানি দিয়েছেন।
চামড়ার সঠিক দাম না পেয়ে এ বছর অনেকেই কোরবানির চামড়া বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা এবং এতিমখানায় দান করে দিয়েছেন। তেমনি একজন ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের বাসিন্দা রায়হান শেখ। তিনি জানান, তার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকা বলা হয়। এরপর তিনি রাগ করে চামড়া ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে দান করে দেন।
আরও পড়ুন >> কোরবানির চামড়ার দরপতনের নেপথ্যে
জোহরের নামাজ পড়ে পুরান ঢাকার আজিমপুর এলাকায় চা খাচ্ছিলেন আলাউদ্দিন নামে ষাটোর্ধ এক ব্যক্তি। এ বছর কোরবানি দিয়েছেন কি এমন প্রশ্নে প্রথমে কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখে মাথা নাড়িয়ে সম্মতিসূচক উত্তর দিলেন। কোরবানির চামড়া কত টাকায় বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে দামে বিক্রি করছি, তা বলতেও লজ্জা করে। গরিব মানুষের হক নিয়ে যারা অন্যায়ভাবে ব্যবসা করে, আল্লাহ যেন তাদের বিচার করে।
কাঁঠাল বাগানের বাসিন্দা শাকিল হোসেন জয় বলেন, গরুর চামড়া বিক্রি করছি ৩০০ টাকা, খাসির চামড়া ৪০ টাকা। প্রায় সাত থেকে আটজনকে প্রতিবছর কোরবানির চামড়ার টাকা সমানভাবে ভাগ করে দেই। এবার কাকে কয় টাকা দেব বলেন। চামড়াশিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সিন্ডিকেট করে কিছু মানুষ। অথচ এক জোড়া ভালো মানের চামড়ার জুতা কিনতে গেলে তিন হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায় না। তাহলে চামড়ার দাম এত কম কেন এটা বিবেচনা করা দরকার।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোরবানিদাতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় চামড়া কেনার জন্য রাজধানীর ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত। গরুর চামড়া ছাড়ানো হলেই চামড়া নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যেত কেনার জন্য। ঢাকায় এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। গত কয়েক বছরের চেয়ে এবারের চামড়ার দামের অবস্থা বেশি খারাপ বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
আরকেআর/আরবি