তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ সুযোগ পেলেই দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। দুই টাকা বাড়লে ১০ টাকা বাড়ায়, ১০ টাকা বাড়লে ৩০ টাকা বাড়ায়।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের প্রধান সবজির হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি টমেটোর দাম ২শ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকায়। প্রতিকেজি গাজর ১শ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা। কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা। শসা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। করলা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। জালি কুমড়ার কেজি ৩০টাকা থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল (তরি) ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
গত দু’সপ্তাহে এসব সবজির দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। এছাড়াও কলমিশাক, পাটশাক, পুঁইশাকের দামও আঁটি প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ১০ টাকা করে বেড়েছে কচুরছড়া, কাঁচা পেঁপের দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থানীয় কৃষকদের শাক-সবজির উৎপাদন নেই। বর্ষা মৌসুমে শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। এছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে, গাছও মরেছে। অন্য জেলা থেকে সরবরাহের কারণে দাম বেশি।
ক্রেতাদের অভিযোগ বিভিন্ন অজুহাতে সিন্ডিকেট করে বাজারে সবজি দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। বাজারে ৪০থেকে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না। শাক-সবজিও এখন নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এসআর/এএটি