রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে, ১১ আগস্ট থেকে শনিবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত বন্ধ ছিল বন্দরটি।
সকালে বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য নিয়ে ট্রাক ঢুকছে বেনাপোল বন্দরে, তেমনি বেনাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাক যাচ্ছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পণ্য খালাস করাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ব্যবসায়ী ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বিশেষ করে এ বন্দর থেকে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের আমদানি বেশি। পণ্য খালাসের কাজে বন্দর, কাস্টমস, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট ও বিভিন্ন ইন্সুরেন্স কোম্পানির প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। আর ২৫ হাজার মানুষের জীবিকা। প্রতিবছর সরকার এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আহরণ করে থাকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে জানান, ঈদ শেষে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের চাপ অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। খালাস করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল, ও খাদ্যদ্রব সামগ্রী। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাট জাত দ্রব, মাছ, গার্মেন্টস সামগ্রী ও কেমিক্যালসহ বিভিন্ন পণ্য।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজ জানান, রোববার দুপুর ২টা থেকে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৬৫ ট্রাক পণ্য। এসব আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য। ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৩৯ ট্রাক পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাট ও পাটজাত জাতীয় পণ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এসআরএস