রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়ৎদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকে আলোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, চামড়া আড়ৎদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।
জানা গেছে, সরকারের মধ্যস্ততায় ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে সম্মত হয়েছেন আড়ৎদাররা। তবে ট্যানারি মালিকদের কাছে যে বকেয়া পাওনা রয়েছে, তা আদায়ে ২২ আগস্ট এফবিসিসিআইয়ের মধ্যস্থতায় সমাধান হবে বলে সিদ্ধান্ত এসেছে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: চামড়া নষ্ট হয়েছে মাত্র ১০ হাজার পিস: শিল্পমন্ত্রী
চট্টগ্রামে ৩০ ট্রাক চামড়া ফেলে দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে কিছু কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে জেলা থেকে যারা এসেছেন তারা জানিয়েছে। বিএনপি রাজনীতির কোনো কিছুতে না পেরে চামড়ায় বিনিয়োগ করেছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দেই না। আমরা এ বিষয়ে সচেতন। এখন কেউ চামড়া মাটিচাপা দিয়ে ও পুড়িয়ে ছবি দিলে আমাদের কিছু করার নেই।
নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেন, চামড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। চামড়াশিল্পে কোনো সমস্যা নেই। চামড়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে। আর আজকের বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট আড়ৎদার ও ট্যানারি মালিকরা এফবিসিসিআইয়ের মধ্যস্থতায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা গতানুগতিক, এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। আজকেই সব সমাধান হয়েছে। মাত্র ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে। চামড়া কেনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, একটি কুচক্রি মহল সরকারকে বিপদে ফেলতে চামড়া ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্ত করেছে। ফলে চামড়ার বিশাল দরপতন হয়েছে। কোরবানিতে এক কোটি চামড়া হয়। এবার তার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে। প্রতিবছর কিন্তু ৫ হাজার চামড়া এমনিতেই নষ্ট হয়। এবার মূলত বেশি গরমের জন্যই চামড়া বেশি নষ্ট হয়েছে। জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা এ কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
জিসিজি/এসএইচ