মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে কোইকা প্রেসিডেন্ট লি মিক্যুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবসম্পদ উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তার জন্য কোইকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশেষত সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বিকাশে সহযোগিতার জন্য, যা প্রকল্পগুলোর সুষ্ঠু ও সঠিক বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। ব্লক চেইন টেকনোলজির মতো আর্থিক সেক্টর সম্পর্কিত আর্থিক প্রযুক্তি উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লক চেইন, এনার্জি স্টোরেজ ইত্যাদির যে কোনো ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় সহায়তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন কোইকা প্রধানকে। কোইকা প্রেসিডেন্ট সুনির্দিষ্ট খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ধারণার প্রশংসা করেন এবং তারা সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থমন্ত্রী এবং কোইকা প্রেসিডেন্ট সব অংশীদারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
মিক্যুং বলেন, কোইকা বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘ইন্টেলিজেন্ট ট্র্যাফিক সিস্টেম’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে, যা আগামী বছর থেকে শুরু হবে। এছাড়া কোইকা আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম বিকাশের মাধ্যমে বন্যা থেকে ক্ষয়ক্ষতি রোধে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পূর্বাংশে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে।
কোইকা সমর্থিত প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে বাস্তবায়নে এদেশের সরকারের আগ্রহের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিক্যুং। কোইকা বৃহৎ অর্থায়নে বাংলাদেশে আরও বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চলেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/