কালিবাড়ী চামড়াহাট ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা ও দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আকিজ ট্যানারি, অ্যাপেক্স ট্যানারি, আরকে ট্যানারি, জহির লেদার, পান্না লেদার, ইউসুফ লেদারসহ ছোট- বড় ব্যবসায়িরা হাটে চামড়া কিনছেন।
জহির লেদারের প্রতিনিধি আহসান আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, গরুর প্রতি পিস বড় চামড়া ৯শ থেকে এক হাজার টাকায় কিনছেন।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা চামড়া বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৮শ পিস চামড়া নিয়ে হাটে এসেছি। প্রতিপিস চামড়া একহাজার টাকায় বিক্রি করেছি। তবে বাছাইয়ে কিছু চামড়া বাদ পড়েছে।
তিনি আরো জানান, সারাদেশে চামড়ার দাম না থাকায় খুব ভয়ে ছিলাম। প্রতিপিস চামড়া কেনার পর লবণসহ চামড়া থেকে মাংস ছাড়ানো, ধোয়া ও পরিবহন খরচ মিলে ২শ টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। চামড়ার দাম না পেলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হতো। তবে স্থানীয় ফড়িয়া- মৌসুমি ব্যবসায়িরা কোরবানির চামড়া কিনে দাম না পেয়ে পুঁজি হারিয়েছেন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে আসা চামড়া বিক্রেতা ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, এবার দামে ধস নামায় হাটে চামড়া নিয়ে আসার সাহস পায়নি আমার মত অনেকে। কারণ চামড়া বিক্রি না করে বাড়ি ফিরলে খরচ আরো বেড়ে যায়। আগামী বুধবার চামড়া নিয়ে হাটে আসবো।
কালিবাড়ী হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি হারুন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর কোরবানি পরবর্তী সময়ে হাটে অর্ধলক্ষাধিক চামড়া আমদানি হয়ে থাকে। এবার বাজার হ-য-ব-র-ল হওয়ায় হাটে চামড়া এসেছে চার ভাগের একভাগ।
তিনি আরও জানান, দাম তুলনামূলক ভালো যাওয়ায় আগামী বুধবার হাটে চামড়ার ভালো আমদানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এসএইচ