বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই শো প্রচারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে বাজাজ পালসার বাইকের আমদানিকারক উত্তরা মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিলীপ ব্যানার্জি, হেড অব বিজনেস প্ল্যানিং নাইমুর রহমান, রিয়েলিটি শো এর পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র, বাজাজের প্রতিনিধি শচীন দেশপান্ডে উপস্থিত ছিলেন।
নাইমুর রহমান বলেন, বাইক স্টান্টিং মূলত একটি খেলা। অন্য খেলার মতই এটারও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে বাইক স্টান্ট বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে। ক্রিকেট কথা বা অন্যান্য খেলার মতোই বাইক স্টান্ট এও উপযুক্ত হেলমেট, গ্লাভস, নি গার্ড, জ্যাকেট এবং পোশাক ইত্যাদি নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
রিয়েলিটি শো’র পরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র বলেন, বাংলাদেশ বাইক স্টান্ট অন্য সময়ের তুলনায় এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে এ ধরনের রিয়েলিটি শো আমাদের দেশে এটাই প্রথম। এই শো দেশের উদীয়মান স্টান্ট রাইডারদের নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের তরুণেরা যেন ভালো কিছু করতে পারে, আমাদের যে অনেক ট্যালেন্টেড লোক আছে তারা যেন তাদের মেধা প্রদর্শন করতে পারে সেই উদ্দেশ্য থেকেই এই রিয়েলিটি শো।
এক প্রশ্নের জবাবে আয়োজকেরা জানান, শো এর প্রতিটি আয়োজন পেশাদার ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এবং নির্দেশনায় করা হয়েছে। বাইকারদের নিরাপত্তায় শ্যুটিং স্পটে অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও রাখা ছিল। দেশের বাইকাররা এটিকে খেলা হিসেবে নিয়ে নিরাপত্তা অবলম্বন করে স্টান্ট করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। একইসঙ্গে অনিরাপদ বা সড়কে যেন বাইকাররা স্টান্ট না করেন সে বিষয়েও সতর্কতা তুলে ধরেন তারা।
গত জুন মাসে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয় বাজাজ স্টান্ট ম্যানিয়া’র। সেখান থেকে ১০০ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। তাদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে শ্যুটিং করা হয়েছে ১২ পর্ব। এদের মধ্যে থেকে একজন বিজয়ী বাইকার পাবেন ১০ লাখ টাকা এবং একটি বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ মোটরসাইকেল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/