আয়শা আক্তার নামে এক নারী শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরটি বন্ধ হওয়ায় আমরা খুবই কষ্টে ছিলাম। বন্দর চালু হওয়ায় আমরা আবার কাজ পেয়েছি।
রাবেয়া খাতুন নামে আরেক এক নারী শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর চালু হওয়ায় আমরা কিছু করে খেতে পারব।
কামালপুর স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন বাংলানিউজকে বলেন, এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৬০টি করে ট্রাক পাথর নিয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় সরকার। আমরা স্থানীয়ভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলেমিশে নির্ধারিত নিয়মে পাথর আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আগামী মঙ্গলবার (২৭ তারিখ) কামালপুর স্থলবন্দরের ১১ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ভারতে গিয়ে পাথরসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে বলে জানান তিনি।
কামালপুর এলসি স্টেশন কর্মকর্তা রুকন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে গত তিনদিনে কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ২২টি ট্রাক পাথর নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে কামালপুর স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
জানা যায়, পাথর নির্ভর এ স্থলবন্দরটি চালু হয় ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় স্থলবন্দরটি পুরোপুরি বন্ধ করে ভারত সরকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই কামালপুর স্থলবন্দরটি শুধুমাত্র এলসি স্টেশনটি হিসেবে চালু হলেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা বন্ধ থেকে যায়। আমদানি-রপ্তানি সহজতর করার লক্ষে ২০১৫ সালের ২১ মে কামালপুর ল্যান্ড কাস্টমসকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তর করা হয়। ঢাকা থেকে কামালপুর স্থলবন্দরের দূরুত্ব ২১৮ কিলোমিটার আর উপজেলা সদর থেকে দূরুত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। কামালপুর স্থলবন্দর থেকে ঢাকায় যাওয়ার একাধিক রাস্তা বিদ্যমান হওয়ায় যাতায়াত খুবই সহজ।
আমদানি পণ্যের মধ্যে গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছ-গাছড়া, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টাজসহ সকল পণ্য। আর রপ্তানির পণ্যের মধ্যে রয়েছে সরকার ঘোষিত সকল রপ্তানিযোগ্য পণ্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প ইতোমধ্যেই অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫.৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থলবন্দরে জমি অধিগ্রহণপূর্বক অন্যান্য অবকাঠামো স্থাপনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এনটি