বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদন পায়।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি করছে। বর্তমানে কাতার গ্যাস এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে দু’টি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে এলএনজির মূল্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির এলএনজি মূল্য থেকে কম থাকে। এছাড়া, বছরের কোনো সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমে গেলে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ গ্রহণ না করলেও মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এ বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারী দেশগুলো প্রয়োজনের কম-বেশি ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট ক্রয় করে থাকে। এজন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে সাধারণ প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি (পিপিসি) গঠন করা হয়। পরে ওই কমিটির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ক্রয় চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম সম্পাদিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ৮ জুন জাতীয় পত্রিকাসহ সিপিটিইউ, পেট্রোবাংলা ও আরজিপিসিএলের ওয়েবসাইটে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) প্রকাশ করা হয়।
সূত্র জানায়, অনুস্বাক্ষরিত এমএসপিএ-এর ওপর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং গ্রহণ করা হয়। ভেটিংয়ে প্রাপ্ত মতামতের আলোকে পেট্রোবাংলার নিয়োজিত আইনজীবীর মাধ্যমে এমএসপিএ’র সংশ্লিষ্ট ধারা/উপধারায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়। একইসঙ্গে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী এমএসপিএ’র ট্যাক্সেস অ্যান্ড চার্জেস এবং ট্যাক্স রিফান্ড বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পোর্ট চার্জেস বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ক্রেডিট সাপোর্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে, যা পর্যালোচনা করে এমএসপিএ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/