একইসঙ্গে নৌপরিবহন ও মৎস্যখাতে বাংলাদেশে অধিক বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গ্লাড হোটেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রী মুন সিয়ং হাইত্তক’র মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া এ আগ্রহ প্রকাশ করে।
বৈঠকে তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে ব্লু বায়ো-টেকনোলজি, টাইডাল এনার্জি, ওসান সেফটি, মেরিটাইম সেক্টরে ট্রেনিং, বাংলাদেশের নাবিকদের চাকরি এবং শিপবিল্ডিংয়ের বিষয়গুলো তাদের আলোচনায় স্থান পায়। প্রতিমন্ত্রী ২৮ আগস্ট (বুধবার) কোরিয়ার বৃহত্তম বন্দর ‘বুসান বন্দর’ পরিদর্শন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের ভালো ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু। বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশে নৌ সেক্টরে দক্ষ জনবল রয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বড় বাজার। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের নানা সুবিধা দিয়ে আসছে। কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা সেই সুবিধা নিয়ে দেশে নৌপরিবহন খাত উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের ‘ডিপ ওয়াটার কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মাণ এবং বাংলাদেশের নতুন চারটি মেরিন একাডেমির যেকোনো একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার বিষয়েও কোরিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্টখাতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারি-বেসরকারি সংস্থার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় কোরিয়ার বিনিয়োগের লক্ষ্যে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান।
নৌপরিবহন ও বন্দর সংশ্লিষ্টখাতে কোরিয়ার বিনিয়োগপ্রাপ্তিতে এ সফর সহায়ক হবে। প্রতিমন্ত্রী ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি ৩০ আগস্ট (শুক্রবার) দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, যুগ্মসচিব মো. মুহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং কোরিয়ার পক্ষে কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক কিম সিয়ং বাম ও পরিচালক চ্যাংগ কি উক।
বাংলাদেশ ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বন্দর ও এর আওতাধীন এলাকা উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে চলতি বছরের ১ এপ্রিলে ঢাকায় একটি সমঝোতা স্মারকপত্র সই হয়। বর্তমানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় নির্মাণাধীন বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন ডিটেইল ডিজাইন ও সুপারভিশনের জন্য কোরিয়ার কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং দায়েউ কোম্পানিকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা,আগস্ট ২৯, ২০১৯
জিসিজি/এএটি