মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কর্মাসের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
ত্রৈমাসিক বুলেটিনে বিশেষজ্ঞরা জানান, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে পর্যাপ্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে শক্তিশালী এবং বহুমুখী অর্থনৈতিক কার্যক্রম যেমন কর ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, মূলধন বাজার, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রকল্প, জলবায়ুর অর্থায়ন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, সাপ্লাইচেইন অর্থায়ন, রেমিট্যান্স ইত্যাদি নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশগুলোকে এগোতে হবে।
এ জন্য বিশ্বব্যাপী সমন্বিত এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধির জন্য স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ২০৩০ সালের এজেন্ডা অর্জনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উন্নয়নশীল দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। উৎপাদন ক্ষমতা উন্নীতকরণ ও বহুমুখীকরণ এবং যোগাযোগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এনার্জি এবং পরিবহন অবকাঠামো এখনও অগ্রাধিকার খাত। বিভিন্ন দেশ, বিশেষত স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখনও অনেকাংশে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
জানা গেছে, বিগত দুই বছরের মতো ২০১৮ সালেও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়ার একটা বড় কারণ ২০১৮ সালের প্রথম দুই কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক এন্টারপ্রাইজগুলোর পুঞ্জীভূত বিদেশি আয়ের বড় একটি অংশ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া। এছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে নজীরবিহীন সমন্বয় এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশ্ব অর্থনৈতিক কাঠামোরও সংস্কার প্রয়োজন। যেমন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
জিসিজি/টিএ