ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কানাডার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ টিপু মুনশির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
কানাডার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ টিপু মুনশির

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তুলছে। এগুলোর বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত। কানাডার বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ও অন্টারিও চেম্বার অব কমার্সের (ওসিসি) যৌথ আয়োজনে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য ফোরাম-২০১৯’ এর সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর)  ওই অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ওসিসি-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং ওসিসি-এর সভাপতি রকো রসি নিজ নিজ পক্ষে সমঝোতায় সই করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশিদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। কানাডার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে এসব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বারপ্রান্তে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবার পরও কানাডা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা আশা করি।  

কানাডা-বাংলাদেশ বাণিজ্য ফোরাম উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করবে বলেও মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে বিনিয়োগ বাড়াতে সক্ষম হবে। এ ফোরাম বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। তারা একে অপরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন এবং সুবিধাজনক খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারবেন।

বাণিজ্য ফোরামে প্রথম প্যানেলের আলোচ্য বিষয় ছিল- ‘কীভাবে কানাডা বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করতে পারে?’ 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সফটওয়্যার এবং তথ্য সেবা সংগঠন-বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে কানাডায় নিযুক্ত  বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, টরন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী,  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খোরশেদ ওয়াহাব, অন্টারিও চেম্বারের সহ-সভাপতি লুই ডিপামাসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার এখন মোট বাণিজ্য প্রায় ১৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ১৩৩৯.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং আমদানি করে ৫৮৯.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।  

কানাডা বাংলাদেশকে ২০০৩ সালে থেকে পোলট্রি, ডেইরি, ডিম, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯ 
জিসিজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।