সূত্র জানায়, ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামের যুবক সৌরভ চন্দ্র হাওলাদার। তিনি অন্য ফসলের চাষবাদ করলেও এই প্রথম বেবি তরমুজ চাষবাদ শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, অল্প খরচে বেরি জাতের তরমুজ চাষ করা যায়। মাত্র ৭০ দিনেই জমিতে ফলন বড় হতে শুরু করে। বাহারি রঙের তরমুজ দেখে সৌরভের মনে আনন্দ ভরে উঠে। এলাকার লোকজনও দেখতে ভিড় করে তার তরমুজক্ষেতে। ইতোমধ্যে একেকটি তরমুজের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি হয়ে উঠেছে। পাকতেও শুরু করেছে। পাঁচ শতাধিক তরমুজ ফলন হয়েছে সৌরভের ক্ষেতে। বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০টাকা দামে।
চাষি সৌরভ চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, আগে অন্য ফলনের চাষ করি। কিন্তু এই প্রথম রঙিন বেবি তরমুজ লাগিয়েছি। সাধারণ দেশীয় জাতের তরমুজের চেয়ে বেবি জাতের তরমুজ কিছুটা ভিন্ন ধরনের। অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় বীজ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রীষ্মকালীন বেবি তরমুজ চাষ শুরু করি। এরপরেই সফলতা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, বেবি তরমুজ চাষ অনেকটা লাভজনক। চাষিরা এটি ব্যাপকভাবে করতে পারলে আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে। কারণ এ তরমুজ ক্ষেতে পোকামাকড়ে আক্রমণ কম হয়। কিন্তু ফলন বেশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতির সম্ভাবনাও কম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এএটি/