প্রার্থীরাও মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় শুরু করেছেন। যাচ্ছেন ভোটারের বাড়ি বাড়ি।
অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ এবং সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের দু’টি ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন প্রার্থী। সেসঙ্গে গ্রুপ ক্যাটাগরিতেও দু’পরিষদে রয়েছেন ১১ প্রার্থী।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রগতিশীল ধারার ব্যবসায়ীরা মিলে করেছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। আর সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের অধিকাংশই প্রতিক্রিয়াশীল। সদ্য বিদায়ী পর্ষদসহ বিগত দিনে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। জাল ভোটার বানিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পেরোনোর অভিযোগ রয়েছে সদ্য বিদায়ী পরিষদ সভাপতির বিরুদ্ধে। ফলে সিলেট চেম্বারকে পরিবার তান্ত্রিকতার বেড়াজালে আবদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে। তাই এবার পরিবার তান্ত্রিকতা থেকে সিলেট চেম্বারকে মুক্ত করতেই সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেটের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার নেপথ্যে ভোটার বানানোটা বড় ফ্যাক্টর। সেদিক থেকে এগিয়ে আছেন সদ্য বিদায়ী পরিষদের ছায়াতলে থাকা সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ। আর বেকায়দায় রয়েছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। তবে পরিবার তান্ত্রিকতা ভেঙে দিতে এবার সিলেটের ব্যবসায়ীরা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিচালক পদে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আবু তাহের মো. শোয়েব, মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, হুমায়ন আহমদ, মো. ফারুক আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, জুবায়ের রকিব চৌধুরী, আক্তার হোসেন খান, আব্দুল হাদি পাবেল, শহীদ আহমদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুস সালাম। অ্যাসোসিয়েটে আরেকটি ক্যাটাগরিতে সদ্য সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী মাকুম ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, মো. আতিক হোসেন। এছাড়া সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এহতেশামুল হক চৌধুরী, সাহিদুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মুশফিক জায়গিরদার, আব্দুর রহমান জামিল, সদ্য সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদের ছেলে খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, শফিকুল ইসলাম, শান্ত দেব, আব্দুস সামাদ, খলিলুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদের ছেলে ফখর উছ সালেহীন নাহিয়ান এবং আলীমুল এহছান এহছান চৌধুরী।
গ্রুপ ক্যাটাগরিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থীরা হলেন তাহমিন আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, আমিনুজ্জামান জুয়াহির। এই পরিষদের সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- পাপলু দাস, মনজুর আহমেদ, নৌসাদ আল মুক্তাদির।
সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদে আছেন- মাহবুবুল হাফিজ ও সিরাজ ইসলাম, মো. নুরুল ইসলাম, বশিদ আহমেদ এবং সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ। চার ক্যাটারিতে ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৬৫ জন। এরমধ্যে অর্ডিনারিতে ১ হাজার ৪১৩ জন, অ্যাসোসিয়েট ১ হাজার ৪০ জন, গ্রুপ ক্যাটাগরিতে ১১ এবং টাউন ১টিতে কেবল একজন।
চারটি গ্রুপে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে জনপ্রতি ১২ ভোট, অ্যাসোসিয়েটে ৬ ভোট, গ্রুপে ৩ ভোট এবং টাউন ক্যাটাগিরিতে ১ ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এনইউ/এএটি