ফাইল ফটো
ঢাকা: গো-খাদ্যের শুল্কমুক্ত আমদানি, বন্দর থেকে দ্রুত খালাস, ভর্তুকিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিলে প্রতিকেজি গরুর মাংস সাড়ে তিনশ’ টাকায় বিক্রি সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত খামারি সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
বিডিএফএ সভাপতি বলেন, খামারিদের বাঁচাতে মাংস আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
গো-খাদ্যের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এগুলো না করে মাংস আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে সেটি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। এর ফলে দেশের খামারিরা শেষ হয়ে যাবে। খামারের সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। তাছাড়া, বাংলাদেশ বর্তমানে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে জনপ্রতি মাংস উৎপাদন ছিল ১১ দশমিক ৬০ গ্রাম, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ গ্রাম।
গো-খাদ্য সরবরাহ সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে দাবি করে ইমরান হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বাংলাদেশে মাংসের দাম কিছুটা বেশি। তবে, এর জন্য খামারিরা দায়ী নয়, দায়ী যারা গো-খাদ্য বিক্রি করেন। তারা সিন্ডিকেট করে গবাদিপশুর খাবারের দাম যেন না বাড়াতে পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। ভর্তুকি দিয়ে গো-খাদ্য বিতরণ, গো-খাদ্য আমদানি শুল্কমুক্ত করা, বন্দর থেকে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের সুযোগ দিলে সাড়ে তিনশ’ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি সম্ভব হবে।
বিডিএফএ’র এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় এক হাজার খামারি অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এমআইএস/একে
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।