রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) শিল্পমন্ত্রণালয়ে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসুচি আকাহুসি শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, জেট্রোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ওজি আনন্দসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষৎকালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শিল্পমন্ত্রী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। গুণগতমানের ফলে জাপানি পণ্যের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাপানি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের অটোমোবাইল, জ্বালানি, মোটরসাইকেল, ম্যানুফ্যাকচারিং ও এসএমই খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে।
পাশাপাশি অটোমোবাইল খাতে ভেন্ডর ডেভেলপমেন্টের জন্য জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ থেকে জাপানের উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল আমদানি, জাপানি কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে একটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট স্থাপনের আহবান জানান।
এসময় জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জাপান শুরু থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। জাপানি কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন ধরে এদেশে সুনামের সঙ্গে কনজ্যুমার প্রোডাক্টস্ বাজারজাত করে আসছে। এদেশের শিল্পখাতে জাপানি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
একইসঙ্গে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারে সরকারের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
জিসিজি/এএ