আইনটি সংশোধনের বিষয়ে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লেজিসলেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড রিফর্ম প্রজেক্টের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
আইনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘এক ব্যক্তি কোম্পানি’ বলতে এমন একটি প্রাইভেট কোম্পানিকে বুঝাবে, যেখানে একজন মাত্র প্রাকৃতিক সত্তাবিশিষ্ট ব্যক্তি এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হবেন।
একক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনের সুযোগ ছাড়াও দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজ করা এবং কোম্পানির সাধারণ পাওনাদার ও সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।
সভায় এক-ব্যক্তি কোম্পানি গঠন করা, সেটির বার্ষিক সাধারণ সভা, শেয়ার হস্তান্তর, পরিচালক সংখ্যা এবং কোম্পানির মালিকের মৃত্যুর পর সেটির শেয়ার হস্তান্তর করা বা উত্তরাধিকাররা কোম্পানির দায়িত্ব গ্রহণ, এক-ব্যক্তি কোম্পানি অধিগ্রহণ করা, রূপান্তর পদ্ধতি, ব্যালেন্স শিট, শেয়ার হস্তান্তরের সময় রাজস্ব আদায় পদ্ধতি, লিকুইডিটর নিয়োগ ও অবসায়ন হওয়ার আগে মূলধন ফেরত পদ্ধতি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভা পরিচালনা করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক। আগামী ২৭ অক্টোবর আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পরবর্তী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ব্যবসার পথ সুগম করতে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ‘কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর ভোটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএ