ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদেশ থেকে মাংস আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
বিদেশ থেকে মাংস আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বার্থে বিদেশ থেকে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ১০টি অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।  

সংবাদ সম্মেলনে অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিদেশ থেকে অবাধে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক খামারিরা চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

এর ফলে বিশাল যুব সমাজ তথা উদ্যোক্তা বেকার হয়ে পড়বে। যার প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষিখাতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেইরি ও ক্যাটল শিল্প একটি বিকাশমান শিল্প। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি যতটা প্রবৃদ্ধি অর্জন করার কথা ছিল তা সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র বিদেশি গরুর অবাধ বাণিজ্যের ফলে। ডেইরি ও ক্যাটল শিল্প বাংলাদেশের মৌলিক শিল্প। মৌলিক শিল্পে বিদেশি আমদানি নির্ভরতা গ্রহণযোগ্য নয়। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে গ্রাম বাংলার কোটি কোটি পরিবার ও খামারির জীবন-জীবিকা।

নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি ভোক্তার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে স্বাবলম্বিতা অর্জনের ক্ষেত্রে এদেশের আপামর খামারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনপ্রতি দৈনিক ১২০ গ্রাম মাংসের চাহিদা হিসেবে বার্ষিক মাংসের চাহিদা ৭২ দশমিক ৯৭ লাখ মেট্রিক টন। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গবাদিপশু ও হাঁস-‍মুরগি থেকে মোট মাংস উৎপাদিত হয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ২ দশমিক ১৭ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত। এর মধ্যে গরু-ছাগলের মাংস মোট উৎপাদনের ৫৫ শতাংশ। সরকারি তথ্যমতে আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিজ আমিষে স্বাবলম্বিতা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিদেশ থেকে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। দেশের বৃহত্তর জনগণের স্বার্থে আমরা হিমায়িত গরুর মাংস আমদানির প্রক্রিয়াটি বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মমিন উদ্দৌলা, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ এমরান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মহসিন, বেঙ্গল মিটের হেড অব কমার্শিয়াল অ্যান্ড এক্সপোর্ট একেএম সাইদুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।  

এছাড়া ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  
 
বাংলাদে সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।