তিনি বলেছেন, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম অর্থনীতির দেশ হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা গত দশ বছর অর্থনীতিতে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছি। যার কারণে অর্থনীতির এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছি। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ পৃথিবীর অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে চলছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি বিদেশি সংস্থা স্বল্পোন্নত দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে বিশ্বের শীর্ষ স্বল্পন্নোত দেশগুলো ২০০৯ সাল ২০১৯ জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির একটা গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় গত দশ বছরে সারা বিশ্বের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশর অবস্থান ১ নম্বরে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮৮ শতাংশ।
‘পৃথিবীর প্রথম সারির অন্যান দেশের যেমন- চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭৭ শতাংশ আর ভারতের ১১৭ শতাংশ, ব্রাজিলের ৯৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ। অন্যান্যদের অবস্থান আরো অনেক পিছিয়ে। এছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অতি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হবে শতকরা ৮ শতাংশ। যা হবে এশিয়া মহাদেশের সব দেশের উপরে। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্য উপাত্তের উপরে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানেও বাংলাদেশ ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৩৬তম অবস্থান যাবে, আর ২০২৮সালে অবস্থান হবে ২৭তম এবং ২০৩৩ হবে ২৪তম অর্থনীতির উন্নতির দেশ।
‘সেই সময় আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। অনুরূপভাবে সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেবিড ম্যাগ তার গবেষণা তথ্য এবং আইএমএফ এর তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে দেখেছেন- ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ভারতের চাইতে বেশি।
‘২০৩০ সালে বাংলাদেশর মানুষের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার। আর তখন ভারতের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও গতিশীল নেতৃত্বের এবং স্থিতিশীল সরকার বিরাজ করায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসকে/এমএ