ভরা মৌসুমে ইলিশের কমতি নেই রাজধানীর বাজারগুলোতেও। তবে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম এখনও সব ক্রেতার নাগালে আসেনি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। এগুলো গত সপ্তাহে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। একইভাবে, কেজিতে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দুই থেকে দুই কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম। এসব ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি দরে।
দেড় থেকে এক কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এক কেজি থেকে এক কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
এ বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। ৬০০ গ্রামের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়। প্রতি তিন পিসে কেজি এমন ইলিশ প্রতিকেজি সাড়ে ৪০০ টাকা, চার পিসে কেজি এমন ইলিশের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মনিরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে শুধু ছোট ইলিশের দাম কমেছে, বড় মাছে এখনও বাড়তি। দাম সবার সাধ্যের মধ্যে নেই। ইলিশের ভরা মৌসুমে দাম আরও কম হওয়া উচিত।
কারওয়ান বাজারের ব্রাদার্স মৎস্য ভাণ্ডারের ইলিশ বিক্রেতা কেএম ওলিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় বড় ইলিশের দাম বেড়েছে। তবে, ছোট ইলিশের চাহিদা কমেছে। অনেকেরই ছোট ইলিশ এক দিনে বিক্রি হয় না, পরের দিন বিক্রি করতে হয়, তখন কম দামেই ছেড়ে দেয়। বড় ইলিশের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
ছোট ইলিশের মতো নিম্নমুখী দাম অন্য মাছেরও। পাইকারি এ বাজারে চাপিলা প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা, কাঁচকি প্রতি পাল্লা ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতিকেজি রুপচাঁদা ৭০০ থেকে ৮৬০ টাকা, আকার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মিরকা ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, বাইলা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি, চিংড়ি (হরিনা) ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, গলদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, টাকি ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙাশ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিং মাছ ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
ইএআর/একে