তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প বিকাশে জীব নিরাপত্তা বিশেষ ভূমিকা পালন করে সবসময়। পোল্ট্রি পালনে মূল সমস্যা হচ্ছে, খামার ব্যবস্থাপনা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ করা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত তিন দিনের সপ্তম অ্যানুয়াল সাউথ এশিয়া বায়োসেফটি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বায়োটেক কনসোর্টিয়াম ইন্ডিয়া লিমিটেডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার ড. বিভা আহুজা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক জীব প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা ও সুফলের পাশাপাশি পৃথিবীব্যাপী এর ঝুঁকির বিষয়ে চলছে নানা গবেষণা আর জল্পনা-কল্পনা। জীববৈচিত্র্য আর মানব স্বাস্থ্য অটুট না থাকলে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সবগবেষণা ও এর প্রয়োগ যাতে মানুষ ও অন্যান্য জীবের কল্যাণে লাগে সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আধুনিক জীব প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন এবং এর ব্যবহারে উৎপাদিত পণ্য পরিবহন, আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদের আওতায় গৃহীত জীব নিরাপত্তা বিষয়ক কার্টাহেনা চুক্তি অনুযায়ী জীব নিরাপত্তা বিধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭০টি দেশ কার্টাহেনা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। জীব নিরাপত্তার ব্যাপারে বাংলাদেশ সবসময় সচেষ্ট।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বায়োসেফটি রুলস অব বাংলাদেশ ২০১২ ও বায়োসেফটি গাইড লাইন অব বাংলাদেশ ২০০৮ প্রণয়ন করেছে।
আমাদের রোগ প্রতিরোধের সবচাইতে সহজ ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে, জীব নিরাপত্তা। বসতবাড়ি থেকে খামার সবজায়গাতেই জীব নিরাপত্তা অর্থাৎ রোগের জীবাণু প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২৯১৮
জিসিজি/আরবি/